Weight
0.5 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
Brun sen
ISBN
9789392216930
Language
Bengali
Publisher
Mousumi
Publishing Year
2025
Bharatbarsha Vol.5 (Durgadas Lahiry) - ভারতবর্ষ খণ্ড ৫
Narir Kon Desh Nei - নারীর কোন দেশ নেই
Aalo Andharer Setu : Rabindra Chitrakalpa - আলো আঁধারের সেতু : রবীন্দ্র চিত্রকল্প
Bangadesher Purabritta - বঙ্গদেশের পুরাবৃত্ত
Kolombas Purbo America - কলম্বাস পূর্ব আমেরিকা
25 Ekhono Porjonto - 25 এখনও পর্যন্ত
Manusher Gharbari - মানুষের ঘরবাড়ি
Jall - জাল
50 Ti SHRUTI NATAK - ৫০টি শ্রুতি নাটক
Mahadevi - মহাদেবী
Kolkatar Ajana Heritage - কলকাতার অজানা হেরিটেজ
The Life of Swami Vivekananda - দা লাইফ অফ স্বামী বিবেকানন্দ
Ganatantra Swadhinata Biplob - গণতন্ত্র স্বাধীনতা বিপ্লব
PIRKATHA by Kaushik Dutta | পিরকথা
Noksal Barinama - নকশাল বাড়িনামা
Feludar Prothom Topse - ফেলুদার প্রথম তোপসে
NEXT - নেক্সট
Abhoyer Katha O Thakuranir Katha - অভয়ের কথা ও ঠাকুরানীর কথা
A Samay Badle Jabe - এ সময় বদলে যাবে
Kabuliwala o Postmaster - কাবুলিওয়ালা ও পোস্টমাস্টার
Bangalar Boishnob Dhormo - বাঙ্গালার বৈষ্ণব ধর্ম
Mahakumbhe Chandal মহাকুম্ভে চণ্ডাল। মহুয়া ঘোষ।
Paschimbonger Kali O Shakti Sadhana - পশ্চিমবঙ্গের কালী ও শক্তি সাধনা
Harshabardhan Hatabhambo - হর্ষবর্ধন হতভম্ব
Kolkata Dialect - কলকাতা ডায়ালেক্ট লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় শব্দ অভিধান
Bharatbarsha Vol.5 (Durgadas Lahiry) - ভারতবর্ষ খণ্ড ৫
Narir Kon Desh Nei - নারীর কোন দেশ নেই
Aalo Andharer Setu : Rabindra Chitrakalpa - আলো আঁধারের সেতু : রবীন্দ্র চিত্রকল্প
Bangadesher Purabritta - বঙ্গদেশের পুরাবৃত্ত
Kolombas Purbo America - কলম্বাস পূর্ব আমেরিকা
25 Ekhono Porjonto - 25 এখনও পর্যন্ত
Manusher Gharbari - মানুষের ঘরবাড়ি
Jall - জাল
50 Ti SHRUTI NATAK - ৫০টি শ্রুতি নাটক
Mahadevi - মহাদেবী
Kolkatar Ajana Heritage - কলকাতার অজানা হেরিটেজ
The Life of Swami Vivekananda - দা লাইফ অফ স্বামী বিবেকানন্দ
Ganatantra Swadhinata Biplob - গণতন্ত্র স্বাধীনতা বিপ্লব
PIRKATHA by Kaushik Dutta | পিরকথা
Noksal Barinama - নকশাল বাড়িনামা
Feludar Prothom Topse - ফেলুদার প্রথম তোপসে
NEXT - নেক্সট
Abhoyer Katha O Thakuranir Katha - অভয়ের কথা ও ঠাকুরানীর কথা
A Samay Badle Jabe - এ সময় বদলে যাবে
Kabuliwala o Postmaster - কাবুলিওয়ালা ও পোস্টমাস্টার
Bangalar Boishnob Dhormo - বাঙ্গালার বৈষ্ণব ধর্ম
Mahakumbhe Chandal মহাকুম্ভে চণ্ডাল। মহুয়া ঘোষ।
Paschimbonger Kali O Shakti Sadhana - পশ্চিমবঙ্গের কালী ও শক্তি সাধনা
Harshabardhan Hatabhambo - হর্ষবর্ধন হতভম্ব
Kolkata Dialect - কলকাতা ডায়ালেক্ট লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় শব্দ অভিধান
Dipan Bhattacharya
Pragga Prakashani
0.6kg
‘গান উজানের যাত্রী’, লেখক: কঙ্কণ ভট্টাচার্য
এই বইয়ে তিন ধরনের লেখা আছে। শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা, সময় ও সামাজিক মানচিত্রে যৌবন এবং শেষ পর্যায়ে সারা জীবনের গানযাপন। এই পর্যায়ে আছে কয়েকজন পথপ্রদর্শক শিক্ষকের কথা ও বেশ কিছু নির্বাচিত গান। এই বই আত্মজীবনী নয়, একজন সৃষ্টিশীল সঙ্গীত কর্মীর গানযাপনের কাহিনী, যেখানে ধরা দিয়েছে পরিবর্তনশীল সময় ও মানুষ।
যেহেতু স্রোতের বিপরীতে সৃষ্ট গানবাজনা মূলস্রোতের মিউজিক মিডিয়াতে তেমন প্রচারিত হয়না, এই বই গানগুলিকে ধরে রাখারও একটা প্রয়াস। সেই কারণে গান হয়ত একটু বেশিই আছে। পাঠকের কাছে গানগুলি যাতে কেবলমাত্র বাণীতেই আবদ্ধ না থাকে তাই ইউটিউবে প্রকাশিত গানগুলির ক্ষেত্রে গানের #কিউ_আর_কোড (#QR_CODE) বাণীর পাশে দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী পাঠক শ্রোতা স্মার্ট ফোনে ওই কোড স্ক্যান করলে গানটি বেজে উঠবে। এতে আশাকরি একটু সুবিধাই হবে।
Weight
0.5 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
Brun sen
ISBN
9789392216930
Language
Bengali
Publisher
Mousumi
Publishing Year
2025
Pre Booking Last Date – 14th December 2026
কলকাতার হৃদপিণ্ড লালবাজার, যেখানে প্রতিদিন জমা হয় অপরাধ, রহস্য আর অমীমাংসিত কেস ফাইল। শহরের ভিড়, আঁকাবাঁকা গলি আর রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে অগণিত অচেনা গল্প, যা সাধারণ মানুষের চোখ এড়িয়ে যায়। সেই অদৃশ্য রহস্যকে দৃশ্যমান করে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন লালবাজার স্পেশাল ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের নতুন অফিসার, স্বর্ণালী পাল চৌধুরী।
কঠোর শৃঙ্খলা, দৃঢ় মানসিকতা আর সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ ক্ষমতা নিয়ে স্বর্ণালী এগিয়ে চলেন একে একে পাঁচটি ভিন্ন কেসের পথে। কখনো হাওড়ার নদীপথে ভেসে ওঠা অঙ্গহীন দেহ, কখনো কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত খুন, আবার কখনো কলকাতার সঙ্গে জুড়ে যাওয়া পাহাড়ি শহরের নির্জন রাস্তায় চাপা পড়ে থাকা মৃত্যু। প্রতিটি রহস্য আলাদা, অথচ তাদের সুতো জুড়ে যায় অপরাধের অন্ধকার জগতে।
এই গল্পগুলো নিছক পুলিশের ডায়েরি নয়, এগুলো এক নারীর সাহসিকতা, তার মনের দ্বন্দ্ব আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার অবিরাম সংগ্রামের কথা। আর সেই সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তকে শব্দে বন্দি করছেন তার সঙ্গী, স্বামী ও লেখক ভাস্কর পাল চৌধুরী।
বিষয় – বাংলার বাণিজ্য
Pre booking last date – 09/09/2025
Published Date – 12/09/2025 to 15/09/2025
প্রিবুকিং চলবে ১০ আগস্ট ২০২৫, রাত বারোটা পর্যন্ত।
#কিশোরবন্ধু_১৪৩২
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১১ আগস্ট ২০২৫ প্রকাশিত হতে চলেছে সেরা কিশোর বার্ষিকী কিশোরবন্ধুর তৃতীয় সংখ্যা। পাঠকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সাতটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস, পাঁচটি উপন্যাসিকা, তেরোটি ছোটোগল্প, প্রবন্ধ, কমিকস, ছড়া ও কবিতা সম্বলিত ৩৯৬ পাতার সুবৃহৎ এই পত্রিকার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৩৪৯ টাকা। সমকালীন প্রথিতযশা লেখকদের পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিবান নবীন লেখনীর সন্ধান করে এই দু-মলাটে সংকলিত করা হয়েছে। সব মিলে এবারের সংখ্যাটি আবালবৃদ্ধবনিতা নির্বিশেষে সমস্ত পাঠকের মনোহরণ করতে পারবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
শুধু তা-ই নয়, যদি পত্রিকা প্রকাশের পূর্বেই আপনারা প্রিবুকিং করেন, তবে বিশেষ ছাড়ে “কিশোরবন্ধু” আপনার বাড়িতে বসে সংগ্রহ করতে পারবেন।
সম্পাদনা : হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
প্রচ্ছদ: সৌজন্য চক্রবর্তী
হার্ডবাউন্ড সংস্করণ | মূল্য : ₹৪৯৯
LF Books-এর জনপ্রিয় প্রাপ্তমনস্ক বার্ষিক সংকলন ‘শিহরণ’ চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করল আরও বিস্তৃত কলেবর, বৈচিত্র্যময় বিষয়বস্তু ও গুণগত সাহিত্যিক উৎকর্ষ নিয়ে। এই সংখ্যায় সংযোজিত হয়েছে রহস্য, থ্রিলার, মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, অলৌকিকতা, কল্পবিজ্ঞান, পৌরাণিক ও অনুবাদ সাহিত্যের অনন্য সংমিশ্রণ। পাঠক পাবেন উপন্যাস, বড়গল্প, ছোটগল্প ও তথ্যনির্ভর ফিচারের নিরীক্ষাধর্মী সমাহার।
Expected Release Date: 02/08/2025
পার্কস্ট্রিটের এক কিউরিও শপ থেকে একটি পিরামিডের প্রাচীন মডেল খুব সস্তায় কিনে বাড়িতে নিয়ে এল ইউসুফ। পিরামিড বাড়িতে আনার পর থেকেই একে একে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় ইউসুফ ও তার স্ত্রী ফারজানা। এর পেছনে মিশরের কোন গোপন ইতিহাস লুকিয়ে আছে? ঘুল তাদের জীবনে কেন এল? তানিয়া কে? সে কী আদৌ মানুষ? কিভাবে মুক্তি পাবে ইউসুফরা? জানতে হলে পড়ুন ‘ঘুল’।
মধ্যযুগ অবসানের পূর্ববর্তী কালপর্বে শৈল্পিক সৃজন- শীলতার এক কালপ লক্ষ্যণীয় প্রস্ফুটনের প্রমাণ পাওয়া যায় দুই সহস্রাধিক মন্দিরের স্থাপত্যশিল্প নিদর্শনসমূহের মধ্য দিয়ে। অজস্র চিত্রসহ এই সুবৃবৎ গ্রন্থটি শিল্পকলার সামাজিকীকরণের এক উজ্জ্বল দলিল।
কখনও জানতে ইচ্ছে হয়নি, বিভিন্ন প্রকারের মদ কী করে তৈরি হয়? মদ নিয়ে ইতিহাসে কত যুদ্ধ ঘটেছে, আর কীভাবে মদের বাজার তৈরি হয়েছে? মদ খেলে শরীরে কী ঘটে? কেন মানুষ মাতাল হয়? কেন এক-একরকম গ্লাস? বিয়ার কেন তেতো হয়? কী করেই বা বিভিন্ন ককটেল বানায়? কেন সিডি আর মিনারেল ওয়াটারের আড়ালে মদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়? কোন রাজ্যে আর কোন দেশে মদ সন্তা? কোথায় বা নিষিদ্ধ? দেবতারা কোন মদ খেত? ইসলামে ও বৌদ্ধদের মদ্যসেবন নিষিদ্ধ কেন?
এ ছাড়াও আরও মদ নিয়ে প্রশ্ন আছে? অথচ কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন না? তাহলে সুরামন্থন করে ফেলুন, এক অবিস্মরণীয় সফরে পেয়ে যান আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর…
চিয়ার্স… (সেটাই বা কেন গ্লাসে গ্লাসে ঠোকাঠুকি করে বলা হয়?)
সতর্কীকরণ: এই গোয়েন্দা গল্পে হাসতে হাসতে খুন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল! বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা, দাদা-কাকা মানেই একরাশ শৈশব স্মৃতি, কোমল কিশোরপাঠ। কিন্তু এবার বদলাতে চলেছে সেই চেনা ছক। ‘স্যান্ডোদার কাণ্ড’— সম্পূর্ণ নতুন ধরণের একটি গোয়েন্দা-চরিত্র, কঠোরভাবে প্রাপ্তমনস্ক। এই বইয়ের কাহিনিগুলি প্রাপ্তমনস্কদের জন্য রচিত কমেডি ডিটেকটিভ অ্যাডভেঞ্চার। রয়েছে নিখাদ গোয়েন্দাগিরির সঙ্গে স্যান্ডোদার হরেকরকম অদ্ভুত আচরণ, খিস্তির পশরা আর খিল্লির ফোয়ারা, আর বাঙালির বহু পছন্দের অপ্রকাশিত কিন্তু চিরচেনা উপাদান— চাপা যৌনতা। অন্তরীপ কমিকস-এর এই প্রযোজনা, শমীক দাশগুপ্ত রচিত, ভট্টবাবুর পেজ-খ্যাত শুভম ভট্টাচার্য্য অঙ্কিত, রাজা ভট্টাচার্য অনূদিত— আপনাকে হাসাবে, ভাবাবে, আবার কিম্ভুত কাণ্ডে চমকে দেবে। গ্যারান্টি দিচ্ছি— শেষ পর্যন্ত আপনি হাসতেই থাকবেন। আর যদি সত্যিই কেউ হাসতে হাসতে খুন হয়ে যায়? স্যান্ডোদা তো আছেই!স্যান্ডোদার কাণ্ডকাহিনি ও চিত্রনাট্য: শমীক দাশগুপ্তঅনুবাদ: রাজা ভট্টাচার্যবিকল্প প্রচ্ছদ: অর্ণব সমদ্দার৫৯৯.০০ (বিকল্প প্রচ্ছদ)
‘আমপাতা জামপাতা’ নিবেদিত, সমকালীন প্রায় একশত লব্ধপ্রতিষ্ঠ লেখক-শিল্পী ও সাহিত্যিকের সৃষ্টির নবীন ফসল আনন্দবার্ষিকী ১৪৩২।৯টি দীর্ঘ উপন্যাস, ৩টি বড়গল্প, ১৩টি মনোমুগ্ধকর ছোটগল্প, প্রতিনিধিস্থানীয় কবিদের নানারঙের ২১টি কবিতা, বিষয় বৈচিত্র্যে অনন্য বিশেষ রচনা, সাহিত্য, তীর্থযাত্রীর ডায়েরি, কমিকস্ ও কার্টুন, নাটক, ৩টি বিজ্ঞান রচনা, খেলা বিষয়ক রচনা, অনুবাদ গল্প, একটি জমজমাট বেড়ানোর গল্প, কুইজের আসর ও শব্দবাজি
📘 ৫ম বর্ষ সংখ্যা – সাসপেন্স বার্ষিকী
📖 সম্পাদনা: অনিন্দ্য ভুক্ত
🎨 প্রচ্ছদচিত্র: সৌজন্য চক্রবর্তী
📦 হার্ডবাউন্ড সংস্করণ | মূল্য: ₹৪৯৯
‘সাসপেন্স বার্ষিকী’ এবার তার ৫ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে বুকফর্ম্যাটে — আরও পরিপূর্ণ, আরও সংগ্রহযোগ্য।
এই সংখ্যায় লিখেছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক-লেখিকারা, যাঁদের কলমে ফুটে উঠবে নতুন গল্প, টানটান সাসপেন্স আর পাঠ-আনন্দ।
📅 প্রকাশকাল: ২৪ জুলাই ২০২৫
‘টাপুর টুপুর’ শারদীয়া ১৪৩২। সম্পাদক, শ্রী মধুসূদন ঘাটী। দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদটি এঁকেছেন শিল্পী সুব্রত মাজি। থাকছে আমার গল্প : মিথ্যা বলার খেসারত…
/ নবরত্নের ‘এবং জলঘড়ি’ //
২০১৬ সালে নবরত্নের (ন’জন সম্পাদক) উদ্যোগে শুরু হয়েছিল চতুর্মাসিক বাংলা সাহিত্য পত্রিকা ‘জলঘড়ি’-র পথচলা। প্রকাশনার প্রথম সংখ্যা থেকেই সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রের সাথে নির্দিষ্ট বিষয়কেন্দ্রীক ক্রোড়পত্র প্রকাশনাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে। সম্ভবত নিবন্ধন সম্পর্কিত কারণেই ২০১৯ সালে ‘জলঘড়ি’ ‘এবং জলঘড়ি’তে রূপান্তরিত হলেও পত্রিকার প্রকৃতি এবং সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়ে যায়। কেবল বাড়তে থাকে বৈচিত্র্য আর আয়তন। এই পত্রিকার আর একটি বিশেষত্ব হল, নবরত্ন সম্পাদকমণ্ডলীর প্রত্যেক সদস্য এককভাবে অথবা যৌথভাবে চক্রবত প্রতিটি সংখ্যার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। স্বাগতা দাশ মুখোপাধ্যায় এবং মেঘ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত সপ্তম বর্ষ, প্রথম – দ্বিতীয় যুগ্ম সংখ্যা (ডিসেম্বর’২৪ – জুলাই’২৫)।
আমার বাবা সত্যজিৎ রায়
সন্দীপ রায়
ছোটবেলা থেকে সত্যজিৎ রায়কে নানা ভূমিকায় দেখেছিলেন সন্দীপ রায়। কখনও তিনি স্নেহশীল পিতা। ছেলের জন্মদিনের কার্ডের ডিজ়াইন করছেন। কখনও আবার গুরুগম্ভীর পরিচালক। একের পর এক কালজয়ী ছবি পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। জিতে নিচ্ছেন পুরস্কার। আবার সেই মানুষই নিজের ঘরে বসে এক মনে লিখছেন ফেলুদা, শঙ্কুর কাহিনি। আঁকছেন বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবির পোস্টার। সুর দিচ্ছেন। সম্পাদনা করছেন ‘সন্দেশ’ পত্রিকার। পরবর্তীকালে যখন বাবার ইউনিটে কাজ করছেন, তখন আবার সত্যজিৎ রায়কে আর-একভাবে তিনি চিনেছিলেন। সেই সব অভিজ্ঞতা নিয়ে এই বই।
এখানে সত্যজিৎ রায় এবং তাঁর পারিপার্শ্বিক জগৎকে তুলে ধরেছেন সন্দীপ রায়। সেই সূত্রে এসেছে বিভিন্ন ছবির শুটিংয়ের ঘটনা। ছবি বিশ্বাস, উত্তমকুমার, কিশোরকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রবি ঘোষ থেকে মার্লন ব্র্যান্ডো, রিচার্ড অ্যাটেনবরো, জ়েরার্ড দেপারদিউ, আকিরা কুরোসাওয়া, ফ্র্যাঙ্ক কাপরা, রোমান পোলানস্কি, আর্থার সি ক্লার্ক এবং আরও অনেকের কথা।
‘আনন্দমেলা’য় ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার সময়ই এই লেখা সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এই বইয়ে লেখার সঙ্গে আরও কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য ছবি সংযোজিত হয়েছে।
নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য সন্ধানে নতুন তখ্যের সন্ধান দিয়েছে এই গ্রন্থ। প্রথম প্রকাশিত লণ্ডনের মহাফেজখানা থেকে প্রাপ্ত তাইওয়ান সরকারের রিপোর্ট, হারিন শাহ রিপোর্ট ও নেতাজি রহস্য সংক্রান্ত অন্যান্য অনালোচিত অধ্যায়।
2025 আনন্দ পুরষ্কার প্রাপ্ত
জীবনবৃক্ষের প্রবাহ এক আশ্চর্য ঘটনা। দীর্ঘ সময়ের যাত্রাপথে কে কার সঙ্গে কীভাবে যে যুক্ত হয়ে পড়ে, কোন ভালবাসা কীরূপে আমাদের কাছে ফিরে আসে, তা কেউ বলতে পারে না। চার ভাগে বিভক্ত এই কাহিনি পঁচিশ বছরের সময়কালকে ধারণ করে আছে। আর তার প্রবাহে আমরা দেখি হাওয়াদাদুকে। দেখি সর্বগ্রাসী ক্ষমতার লোভে অন্ধ বীরেন্দ্রকে। আবার দেখি গ্রাম্য রাজনীতির নেতা জগন্নাথকেও। এবং তারপর একটি খুন বদলে দেয় বহু মানুষের জীবনের গতিপথ ও লক্ষ্য! আর সেই সূত্র ধরেই এই কাহিনি আমাদের চিনিয়ে দেয় দরিদ্র যুবক কবিকে। দেখায়, উর্জা ও রাজুর প্রেম ও তার পরিণতি। সেই প্রবাহেই জানা যায় কাজের মানুষ লালু আর বিন্দিকে! জানা যায় ইউনিভার্সিটিতে পড়া জিনি কেন ভালবাসে কবিকে! আর দেখি আশ্চর্য এক চরিত্র, ঝিরিকুমারকে। কে এই ঝিরিকুমার? সেকি আনন্দের উৎস নাকি মৃত্যুর অন্ধকার? এরা ছাড়াও কাহিনির বাঁকে বাঁকে এসে পড়ে সেতুদা, গুরান, লীলা, মাধু, বাচ্চু, অঞ্জনা, নিধি-সহ আরও নানান চরিত্র! বহু আগের দুটি ঘটনা প্রভাব ফেলে সময়ের ওপর, নানান মানুষের ওপর। আলো-ছায়ার এইসব মানুষরা ভাবে তাদের জীবনের শূন্য পথে কবে ফুটবে ভালবাসার মল্লিকা! ‘শূন্য পথের মল্লিকা’ অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে আলোয় পৌঁছনোর উপাখ্যান। হিংসা থেকে ভালবাসায় পৌঁছনোর যাত্রা। সুখপাঠ্য এই উপন্যাস মনের অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে রাখার কথা বলে। ভালবাসার মধ্যে যে ত্রাণ আছে, তার কথা বলে।
ফেলে আসা সময়ের কলকাতা নিয়ে নতুন করে আবার একটা বই, মানেই সেখানে নতুন তথ্য এসেছে, এমন নয়। বরং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে বিশ্লেষণ, বর্তমান সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা এই বই। চটজলদি যোগাড় করে পরিবেশন করা তথ্য নয়, পুরোনো সময়ে লেখার নতুন করে টিপ্পনি করাও নয়, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অতীতকে ফিরে দেখা, অল্প আলোচিত কিছু টুকরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা এটি। ইতিহাস যে শুধু ফিসফিস করে কথা বলে না, বর্তমান সময়ের নিকটতম প্রতিচ্ছবি হয়ে বিরাজ করে, সেকথা প্রমাণের চেষ্টাও রয়েছে অবশ্য। কলমের গুণমান কিংবা মসৃণ পাঠের আগাম নিশ্চয়তা না থাকলেও, পাঠকের কৌতূহল বাড়ানোর গ্যারান্টি থাকছেই
পেশায় সাংবাদিক হলেও কলকাতার ইতিহাস নিয়ে লেখকের চর্চা দীর্ঘদিনের। সংবাদপত্র ছাড়াও বিভিন্ন সাময়িকপত্র ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে লেখকের কলকাতা সম্পর্কিত যে সমস্ত রচনা প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর থেকে বাছাই করা কিছু নিবন্ধ নিয়ে এই বই।
কলকাতার আদি ইতিহাস থেকে আরম্ভ করে, এই শহরের নামকরণ, উল্লেখযোগ্য কিছু রাস্তার নামের ইতিহাস, রাইটার্স বিল্ডিংস, টাউন হল, নদীয়া হাউস, কলকাতার ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস-সহ শহরের স্বনামধন্য বেশ কিছু বাড়ির কথা ছাড়াও রয়েছে কলকাতা শহর গড়ে ওঠবার সময়কালের বিচিত্র সব কাহিনি। শুধু রাস্তা আর বাড়ির কথাই নয়, এই বইতে রয়েছে স্বদেশি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লেখা একাধিক নিবন্ধও। আশা করা যায়, কলকাতা শহরের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহী পাঠকদের অনেক কৌতূহল মেটাতে পারবে এই বই।
কয়েক বছর পরেই টিনটিনের শতবর্ষ। টিনটিনের জন্ম ১৯২৯ সালে বেলজিয়ামের একটি জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদপত্রে। টিনটিন পেশায় সাংবাদিক হলেও নেশায় অভিযাত্রী। টিনটিন তার কুকুর স্নোয়িকে নিয়ে সোভিয়েত, কঙ্গো, আমেরিকা, তিব্বত সহ একের পর এক দেশে অভিযান চালিয়েছে। পার করেছে সাহারা মরুভূমি। রাত কাটিয়েছে ইনকাদের কারাগারে। এমনকি গ্যাগারিন বা নীল আর্মস্ট্রং বাস্তবে চাঁদে পৌঁছনোর অনেক আগেই এই খুদে সাংবাদিক চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল। টিনটিনের শতবর্ষের প্রাক্কালে অনিরুদ্ধ সরকারের কলমে টিনটিনের হাজারো জানা-অজানা ঘটনা এবং ছবি নিয়ে— ‘শতবর্ষে হার্জের টিনটিন’।
শার্লক হোমসের স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল হোমসকে ছাড়াও বেশ কিছু রহস্যকাহিনি লিখেছিলেন। তার মধ্যে কিছু কাহিনির চরিত্রের মধ্যে শার্লক হোমসের ছায়া পরিলক্ষিত হয়। সেই কাহিনিগুলিকে কেউ কেউ ‘দি আনঅফিশিয়াল শার্লক হোমস’ বলে থাকেন। সেগুলির অনুবাদের সঙ্গে রইল আরও দু’টি হোমসকাহিনির অনুবাদ— যা সাধারণত কোনো শার্লক হোমস সমগ্রে সংকলিত হয় না। গল্পের পাশাপাশি সংকলিত হল দু’টি নাটকও— যেখানে মুখ্য চরিত্র শার্লক হোমস!
সব মিলিয়ে পাঁচটি ছোটোগল্প, একটি একাঙ্ক নাটক ও একটি তিন অঙ্কের নাটক নিয়ে—
দি আনঅফিশিয়াল শার্লক হোমস
“And ye shall know the truth and The truth shall set ye free…”
আজ এতগুলো বছর পর কে যেন আবার হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার রহস্যজনক মৃত্যুর পেছনে থাকা কনস্পিরেসিকে খুঁড়ে বের করার চেষ্টা করছে। সে বোধহয় জানে না এর পরিণাম কী হতে পারে…
উনিশ শতকের মনীষীদের লেখায় তাঁদের বাল্যকালের শিক্ষাব্যবস্থার অপূর্ব জলছবি।
দ্য ডেজার্ট
পিয়ের লোতি
অনুবাদ : প্রদীপ কুমার সেনগুপ্ত
চলুন ইতিহাসের একটু পিছনে হাঁটা যাক। বিখ্যাত “টেন কমেন্ডমেন্টস ” সিনেমা মনে আছে? সেই মিশর সম্রাট রামেশিস কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে মোজেস যখন তার দলবল নিয়ে নিজস্ব বাসস্থান খুঁজে পাওয়ার জন্য মরুভূমি পেরিয়ে জেরুজালেম এর পথে যাত্রা করল? সিনাই পর্বতে পরম শক্তিমান ঈশ্বর কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে ১০ টি বাণী সাথে নিয়ে জেরুজালেমে হাজির হয়ে বসতি স্থাপন করলেন?
বহুদিন বাদে ফরাসি ভূ – পর্যটক, নাবিক, সেনানায়ক ও প্রাচ্যবিশারদ পিয়ের লোতি সেই মোজেস এর পথ ধরেই উটের কাফেলা নিয়ে জেরুজালেমের পথে যাত্রা করেন।
সে এক অপূর্ব যাত্রা… অপূর্ব বর্ণনা…
সেই দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের নামই হল “দ্য ডেজার্ট”।
তারই অসাধারণ অনুবাদ করলেন বিখ্যাত ভূতাত্বিক প্রদীপ কুমার সেনগুপ্ত।
অলৌকিক অনুভব
মূর্তি মন্দির পরিক্রমার ভিন্ন আখ্যান
সোমা মুখোপাধ্যায়
ঈশ্বর আছে না নেই এ তর্ক বহুদিনের। কথামৃতে সহজভাবেই ঠাকুর এ নিয়ে নানাভাবে আলোচনা করেছেন। আমরা তো সেই নুনের পুতুলের মতো। সমুদ্রের তল মাপতে গিয়ে তার মাঝেই হারিয়ে যাই। অথবা সেই লোকটির মতো যে শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথ সাকার না নিরাকার একটা লাঠি নিয়ে পরীক্ষা করেছিল। যখন লাঠি জগন্নাথের বিগ্রহ স্পর্শ করেনি তখন তিনি তার কাছে নিরাকার আবার যখন লাঠি স্পর্শ করল বিগ্রহকে তখন জগন্নাথ দেব তার কাছে সাকার। আসল কথা ভক্তের ভগবান। কখনো তিনি মধুসূদন দাদা হয়ে ভক্তকে জঙ্গল পার করে দেন আবার কখনো ছোট মেয়ের বেশে ভক্তের ঘরের বেড়া বেঁধে দেন। সেদিক থেকে বলতে গেলে এই বইটি চেনা ছকে লেখা কোনো মন্দির ভ্রমণের কাহিনি নয়। এই কাহিনি বিশ্বাসের। হয়তো বা চেতন থেকে চৈতন্যের অনন্ত পথে পৌঁছে যাওয়ার এক দিশা।
করতালতলীর ধুলটে নীলমাধবের মন্দিরের ভিতর ভক্তিতে গাইতে গাইতে নীলমাধবে বিলীন হয়ে গেল প্রাণনাথ গোঁসাই। বাইরে ওকে গ্রেফতারের জন্য ছদ্মবেশে অপেক্ষারত ইংরেজ পুলিশ হতবাক। হতবাক ধুলটে উপস্থিত তিন হাজার ভক্ত। জলজ্যান্ত মানুষটা মন্দিরের ভিতর থেকে ভোজবাজির মত হাওয়ায় মিলিয়ে গেল? এও কি সম্ভব?
বাঙালির হারিয়ে যাওয়া গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে খুঁজে খুঁজে বের করে আনে প্রীতম বসুর বুদ্ধিদীপ্ত গবেষণা। তারপর লেখক বাংলার সেই বিস্মৃতপ্রায় মহান অতীতের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দেন এক কল্পকাহিনীর মাধ্যমে। এভাবে একের পর এক সৃষ্টি করে চলেন “ছিরিছাঁদ”, “পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গল”, “চৌথুপীর চর্যাপদ”, “কপিলাবস্তুর কলস” এর মত জনপ্রিয় উপন্যাস যা বিদগ্ধ পাঠকসমাজে আলোড়ন জাগিয়ে হয়েছে বহুল সমাদৃত।
সেরকমই এক গভীর গবেষণাজাত কল্পকাহিনী “প্রাণনাথ হৈও তুমি”। এ এমন এক উপন্যাস যা বাঙালিকে নিজের গৌরবপূর্ণ ঐতিহ্যের সম্বন্ধে পরিচিত হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে। বাঙালি পাঠক পাঠিকাদের করে মাতৃভাষার জন্য গর্বিত ।
চয়নবিলের তলা থেকে আবিষ্কৃত হল পাথরে খোদাই করে ১৪০০ সালের কথ্য বাংলা ভাষায় ও লিপিতে লেখা পঞ্চাননমঙ্গল কাব্য। কিন্তু সেখানে কেন পঞ্চানন ঠাকুরের পূজার মন্ত্রে আমাদের পূর্বপুরুষরা লুকিয়ে রেখেছিল অজস্র আধুনিক অঙ্কের সূত্র?
ছ’শ বছর আগেকার বাঙালীর অজস্র অজানা পারদর্শিতার আলেখ্য দেখে গর্বে বুক ফুলে উঠবে, কিন্তু এক অশুভ বৈদেশিক শক্তি পঞ্চাননমঙ্গল ধ্বংস করার জন্য কেন উন্মত্তপ্রায়? বখতিয়ার খিলজি নালন্দা ধ্বংস করে তিন মাস ধরে মহামূল্যবান পুঁথি পুড়িয়ে আমাদের অতীত মুছে দিয়েছিল। তবে কি পঞ্চাননমঙ্গলের সংগে সঙ্গে হারিয়ে যাবে প্রাচীন বাঙালীর বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শনের শেষ দলিল?
চৌথুপী সাঙ্ঘারামে মরণভয় ছড়িয়ে পড়েছে। অন্ধকারে সাঙ্ঘারামের শূন্য প্রাঙ্গণে পদচারণা করছেন মহাস্থবির। দুশ্চিন্তায় তার চোখে ঘুম নেই। একদিকে সাঙ্ঘারামের আবাসিকদের সুরক্ষার গুরুদায়িত্ব, অন্যদিকে চৌথুপীর গ্রন্থাগারের অমূল্য পুঁথিগুলির অনিশ্চিত ভবষ্যতের দুশ্চিন্ত। দূরে গ্রন্থাগারের গবাক্ষের ভিতর দিয়ে ক্ষীণ আলোকরশ্মি দেখা গেল। এত রাতে গাঁথাঘরে আলো? কৌতুহলে পায়ে পায়ে এগিয়ে মহাস্থবির গ্রন্থাগারের বিশাল দরজার সামনে এসে থমকে দাঁড়ালেন – গাঁথাঘরের মুখ্য দ্বার খোলা!
চৌথুপীর চর্যাপদ” কি শুধুই থ্রিলার ? নাকি থ্রিলারের মোড়কে বন্দি এক গভীর গবেষণার প্রকাশ? বাঙালির আসল পরিচয় অন্বেষণ করে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন প্রীতম বসু। বাঙালির সম্বন্ধে প্রকাশিত ইতিহাস যে অসম্পূর্ণ এবং এই ইতিহাস আবিষ্কারের জন্য ভাবী প্রজন্মের বাঙালির রোড ম্যাপ কী তাও কলমের আঁচড়ে বন্দি করেছেন লেখক। পাতায় পাতায় বিস্ময় আর শিহরণের আনন্দ !পডুন এ কালের থ্রিলার লেখকদের মধ্যে অন্যতম প্রীতম বসুর আশ্চর্য উপন্যাস “চৌথুপীর চর্যাপদ” আর চিনুন নিজের প্রাচীন গৌরবের উজ্জ্বল অক্ষরকে।
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
একটা দলের বিচ্যুতি আর অপ্রাসঙ্গিকতা থাকা সত্ত্বেও যে সব মানুষ এখনো মেরুদণ্ড সোজা করে থাকতে পারে, রেড বুক তাদের নিয়ে লেখা। প্রথম পর্ব শহরের কথা বললে দ্বিতীয় পর্ব গ্রামীণ রাজনীতির একটা অংশকে তুলে ধরে। রেডবুক একটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উপন্যাসের বই।
Author – Surendranath Dasgupta
Publication – Khori
Weight – 0.5kg
Author
Specifications
Binding
Hardcover
ISBN
978-81-948715-8-3
Publishing Year
November, 2021
Pages
132
দুর্গাচরণ তাঁর বইখানি তুলে দিতে চেয়েছিলেন, ‘সর্বকালের ভ্রমণ বিলাসীদের করকমলে’ অথচ বইটি কিন্তু নিছক এক ভ্রমণ কাহিনী আদৌ নয়। সেই সব পরিব্রাজকেরা কেউই মানুষ নন, দেবতা, যদিও মনুষ্য বেষে ও সংশ্লিষ্ট ক্লেশের শিকার হয়ে যতদূর সম্ভব মনুষ্য ভাবেই তাঁরা ভারতভূমি দর্শন করেছেন। ভ্রমণ পিপাসুদের মত প্রকৃতি দর্শনের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান দেবতারা দেখতে এসেছিলেন ইংরেজ শাসনের একশ বছর অতিক্রান্ত হলে পর কি কি বিষয়ে কতখানি পরিবর্তন ঘটেছে। দেশের প্রকৃত অবস্থা কি। জলাধিপতি বরুণ, যাঁর মর্ত্যধামে গতায়াত প্রায় নিয়মিত, ইংরেজ রাজত্ব সম্পর্কে প্রথমেই তিনি তাঁর মুগ্ধতার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘এ প্রকার বুদ্ধিমান ও প্রতাপশালী রাজা আমি কখন কোন যুগে চক্ষে দেখি নাই। পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন স্থান নাই, যেখানে ইহাদের রাজ্য নাই। স্বর্গে ইংরেজাধিকৃত স্থান নাই বটে, কিন্তু সত্বরেই বোধকরি, স্বর্গরাজ্যও ইংরাজদের করতলগত হইবে’।
একদিন ইন্দ্র, বরুণ প্রমুখেরা মর্ত্য বিষয়ে নারায়ণের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ক্রমে স্থির হল সব দেবতা একত্রে মর্ত্যধামে এসে চাক্ষুষ একবার ভারতের অবস্থা প্রত্যক্ষ করবেন। নারায়ণের সাধ, ‘একবার কোলকেতা দেখিতে ও কলের গাড়িতে চড়িতে বড় সাধ’। কিন্তু নারায়ণের এহেন আবদারে লক্ষ্মীদেবীর বয়ানে দেশী বিত্তবান বাবুদের মত নারায়ণের চরিত্র স্খলনের সম্ভবনার কথা বলে সাবধান করেছেন। “সেখানে গিয়ে যদি আরমানি বিবি পাও আর কি আমায় মনে ধরবে? না, স্বর্গের প্রতি ফিরে চাইবে? হয়তো তাদের সঙ্গে মিশে মদ, মুরগী, বিস্কুট, পাঁউরুটি খেয়ে ইহকাল পরকাল ও জাত খোয়াবে! শেষে জাতে ওঠা ভার হবে, আর দেখতে দেখতে যে বিষয়টুকু আছে তাও ক্ষোয়া যাবে। এমনও হতে পারে — ব্রাহ্মসমাজে নাম লিখিয়ে বিধবা বিয়ে করে বসবে। কিংবা থিয়েটারের দলে মিশে ইয়ারের চরম হয়ে রাতদিন কেবল ফুলুট বাজাবে ও লক্ষ্মীছাড়া হবে। শুনেছি কোলকাতার শীল না নোড়া কারা ৭৫ হাজার টাকায় কোন থিয়েটার কিনে দুই তিন লক্ষ টাকা উড়াইবার যোগাড় করেছে। আমিও শীঘ্র তাহাদের বাড়ী পরিত্যাগের ইচ্ছা করেছি’। খুব কম কথায় কলকাতার সেকালের বাবুদের ফূর্তি আর ফতুর হয়ে যাওয়ার চালু কিসস্যাগুলিকে লক্ষ্মীর বয়ানে লেখক পরিবেশন করেছেন, যাকে বলে প্রথম চোটেই। এরপর মহাদেবের সঙ্গেও মর্ত্যযাত্রার বিষয়ে কথোপকথনে মর্ত্যের, বিশেষ্ট কলকাতার সাম্প্রতিকতম অবস্থা , বাবুয়ানি সম্পর্কে লেখকের ভাষ্য এই রচনাকে ভ্রমণ কাহিনীর বাঁধা ছক থেকে বার করে এনে এক সরস সামাজিক ধারা বিবরণীতে উত্তীর্ণ করেছে।
Editor : Kaushik Dutta
Binding : Hardcover
Language : Bengali
Publisher : Khori
শিল্পকলার ইতিহাসের চর্চায় গুরুদাস সরকারের অবদান নিয়ে বলা নিষ্প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও মন্দিরের কথার ভূমিকার রচয়িতার নামটি একবার উল্লেখ
করতেই হয়। কারণ, সেই নামটি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ‘কোনারকের কথা’ এবং ‘ভুবনেশ্বরের কথা’ আলাদা বই রূপে প্রকাশিত হওয়ায় দু’টি বইতেই সেই ভূমিকা এবং ‘মন্দিরের কথা’-র উপক্রমণিকা অংশটি সংযুক্ত করেছেন প্রকাশক। বর্তমান সংস্করণগুলির জন্য আলাদা করে নতুন ভূমিকাও যোগ করা হয়েছে .
Publishing Year
2025
Pages
180
Publisher
Khori – খড়ি প্রকাশনী
Binding
Hardbound
Language
Bengali
ভারতশিল্প বস্তুত একটি মহাসমুদ্রের মতো। তার আছে নানা অঙ্গ, নানা প্রকোষ্ঠ যেমন সৌন্দর্যতত্ত্ব, রীতি, শৈলী,বিবর্তন,কাল বিভাজন, অঞ্চল বিভাজন ইত্যাদি। এই বইটিতে শিল্প – ঐতিহাসিক ড.মলয়শঙ্কর ভট্টাচার্য স্বল্প পরিসরে আলোচনা করেছেন ভারতশিল্পের চর্চার উন্মেষকাল ও তার শিল্পানুসন্ধানীদের কথা, শিল্পের নানান ধারা এবং শৈলী, শিল্পকর্মে জীবনের প্রতিফলনের কথা, ভারতের বাইরে তার প্রসারের কথা এবং আরও অন্যান্য বিষয়।
আলপনা আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাঙালি জাতির সংস্কৃতিতে আলপনা কবে যুক্ত হয়েছে তার উৎস খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য। পুজো-পার্বন, ব্রত-মঙ্গলকর্ম, উৎসব-অনুষ্ঠান সর্বত্র আলপনা বিশেষতঃ প্রথাগত আলপনা তার অধিকার বিস্তার করে রেখেছে। লোক-সংস্কৃতির এই বলিষ্ঠ ধারাটি জনমানসে প্রোথিত হওয়ার তেমন সুযোগ পায়নি। আলপনা সংস্কৃতির সে অভাব পূরণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে রচিত এই গ্রন্থ। এখানে আলপনার উৎস, ইতিহাস, বৈচিত্র্য ও যুগোপযোগী পরিবর্তনের ধারা সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচিত হয়েছে।
মনুষ্যত্বের পথচলা হল অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা, মৃত্যু হতে অমৃতের দিকে যাত্রা, ভ্রান্তি থেকে সত্যের দিকে যাত্রা । তন্ত্রও সেই একই কথা বলে। বলে দেহ থেকে দেহাতীতে যাওয়ার কথা। আর এই যাত্রাপথের গলিখুঁজিতে ওঁত পেতে থাকে কত না অগণন ছায়াশরীরের বুভুক্ষু আর্তনাদ। অন্ধ অভিশাপের সাতকাহন। আর সেই অন্ধকারের ছায়ার মধ্যে কেউ কেউ আসেন আলোর মাভৈঃ মন্ত্র নিয়ে। মন্ত্রকন্ঠে বলেন, ‘জেনে রাখো অমৃতের সন্তান, এই পৃথিবীর সমস্ত পূজা, আরাধনা, মন্ত্রপাঠের থেকেও মহত্তর স্নেহ, দয়া, করুণা, মৈত্রী। কারণ ভালবাসাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় যাদু।’ সেই ভয় আর ভালবাসার গল্প শোনাতে আবার ফিরে এসেছেন ভবতারণ চট্টোপাধ্যায় এবং স্বয়ং কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ।
যুদ্ধ কি? যুদ্ধ কেন? এই আপাত সরল দুটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এই বই। বস্তুত সভ্যতার সেই শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত মানবেতিহাসের সবচেয়ে নিয়মিত এবং ধ্রুব যে ঘটনা সেটি যুদ্ধ। ভারতবর্ষের ইতিহাসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও তাদের সমর প্রকরণ নিয়ে এই গ্রন্থ। যার বিস্তৃতি কুরুক্ষেত্র থেকে সিপাহী বিপ্লবের লখনৌ পর্যন্ত। তার সঙ্গে রয়েছে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের প্রায় সবকটি রাজবংশ নিয়ে একটি মনোজ্ঞ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং যুদ্ধ প্রকরণের মানচিত্র।
“লিওনেল আন্দ্রেস মেসি-ই আজকের অনিবার্য মহাকাব্য। তবে সাহিত্যিক মহাকাব্য। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত লাতিন আমেরিকা থেকে সমৃদ্ধ ইউরোপে অভিপ্রয়াণকারী মেসিজীবন হল সেই লিটারারি এপিক, যা তৃতীয় বিশ্বের কোনো কমবয়সি ফুটবলার বা নটকে উত্তেজিত বা উদ্বেজিত অথবা আরও ঝুঁকি নিয়ে বলা যায়, প্রাণিত করতে পারে।… বিশ্বাস করি, আমাদের দেশেও নিশ্চয়ই দীর্ঘ বিরতির শেষে সেই অপূর্ব এল ডোরাডোর উৎসের সন্ধান কোথাও না কোথাও, কেউ না কেউ পাবেনই।”
গুরু, তন্ত্র, মন্ত্র, যোগ ও নিজের সঙ্গে একত্বজ্ঞান লাভ করার উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতের তন্ত্রসাধকেরা গিরি গুহায়, ডেরায়, শ্মশানে লোকচক্ষুর আড়াল নিয়ে করে চলেছেন তন্ত্রবিদ্যার নিগূঢ় চর্চা। বহমান তান্ত্রিক সাধনা প্রাচীনকাল থেকে মধ্যযুগ এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত নানারকমভাবে ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাকে বাহ্য ও অন্তর্গঢ় ভাবধারা দিয়ে পুষ্ট করেছে। এর এক সাধনক্রম আছে। বইতে তারই প্রকাশ ঘটেছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বঙ্গের দুর্গাপুজো কেমন হয়েছে? বাংলা সংবাদপত্রে পুজার সময়, সমাজ, খবর, ছবি, বিজ্ঞাপন আর অন্যান্য বিষয়ে কী ছাপা হয়েছে। সেই ভয়াবহ দমবন্ধ সময়ের দুর্গাপুজোর সচিত্র বিবরণ।
চলচ্চিত্র পোস্টারের জন্ম চলচ্চিত্র জন্মের প্রায় একই সময়ে। নানা সময়ে নানা দেশে এই চলচ্চিত্র পোস্টারের নানা বিবর্তন, পরিবর্তন ঘটেছে- বিষয়ে, আঙ্গিকে, প্রয়োগ-কল্পনা ও শৈল্পিক-চিন্তায়। কখনও পৃথিবীবিখ্যাত শিল্পীরা চলচ্চিত্রের জন্যে পোস্টার এঁকেছেন। চলচ্চিত্রের সামজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসে চলচ্চিত্র পোস্টার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেই পোস্টারের আদি, অতীত, বর্তমান নিয়েই এই সচিত্র গ্রন্থ, যাতে রয়েছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের পোস্টারের বিবর্তনের ইতিহাস, সঙ্গে শতাধিক দুষ্প্রাপ্য মূল পোস্টারের প্রতিলিপি।
অমরেন্দ্র কুমার রায় তাঁর ‘শরৎপ্রসঙ্গ’ বইতে লিখেছেন- “অনেকের ধারণা শরৎচন্দ্র বেশ্যাসক্ত ছিলেন।” ‘শরৎচন্দ্রের রেঙ্গুনের বন্ধু গিরীন্দ্রনাথ সরকার তার ‘ব্রহ্মদেশে ‘শরৎচন্দ্র’ গ্রন্থে শরৎচন্দ্রকে “সমাজ বিরোধী, উচ্ছৃঙ্খল যুবক” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন-
“তিনি একদিক দিয়ে ছিলেন এক উচ্ছৃঙ্খল যুবক, দিনরাত মদের নেশায় চূড় হয়ে থাকতেন। মদ না পেলে আফিমের নেশাতেও ভূত হয়ে থাকতেন আর অধিকাংশ সময় কাটাতেন রেঙ্গুন শহরের -নিষিদ্ধ পল্লীতে।” শরৎচন্দ্রের জীবনীকার গোপালচন্দ্র রায় লিখেছেন- “শরৎচন্দ্র একবার তাঁর বন্ধুর সঙ্গে পতিতার কাছে গিয়েছিলেন। মেয়েটি নাচ গান জানতো। নাচ গান চলতে লাগল। এদিকে দু-বন্ধু মিলে একটু একটু করে মদ্যপানের মাত্রাও বাড়াতে লাগলেন। এক সময় উভয়েই নেশায় বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। এমনকি তাদের কোমরের কাপড়ও ঠিক রইল না।” কিন্তু কেন শরৎচন্দ্রের এই ছন্নছাড়া জীবন। কেন শরৎচন্দ্রকে প্রায় সারা জীবন তথাকথিত ভদ্র এলিট সমাজের কাছে অপাংক্তেয় হয়ে থাকতে হয়েছিল?-
এর উত্তর বাঁধা ছিল বাংলা সাহিত্যের এক বিখ্যাত লেখিকা নিরুপমাদেবীর আঁচলে। তিনি নরেন্দ্র দেব ও রাধারাণীদেবীর কাছে স্বীকার করেছিলেন- “শরৎদার যে বাউন্ডুলে দশা হয়েছিল, সে শুধু আমারই জন্য।” এই বইতে সেই মাতাল বাউন্ডুলে পতিতালয়গামী উচ্ছৃঙ্খল শরৎচন্দ্রের কথা।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গদ্য সাহিত্যের বৈশিষ্ট্যগুলির একটি হল কাহিনির প্রতি স্তরে আর ভাঁজে সুক্ষ্ম রসবোধের ছোঁয়া দিয়ে রাখা। ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে লেখা গল্প-উপন্যাসের সেই বিষয়টির খোঁজ করা হয়েছে এই বইতে। একই সঙ্গে ব্যোমকেশ এবং অজিতের চরিত্রেও শরদিন্দু আরোপ করেছেন আশ্চর্য মূল্যবোধ এবং জীবনরস সন্ধান আর আস্বাদনের মানসিকতা। এই বইতে আলোচিত হয়েছে সেই বিষয়টিও।
জীবনরসিক ব্যোমকেশ বক্সীর মানবিক মূল্যবোধ আর কাহিনিতে প্রচ্ছন্ন ও প্রকট হয়ে থাকা হাস্যরসের সন্ধানে এই বইয়ের আলোচনাও এক ধরনের সত্যান্বেষণ।
দোকানের পণ্য পসরার বিজ্ঞাপন সংবলিত পুস্তিকা প্রকাশিত হত সে-সময়। তা ছাড়াও পঞ্জিকার পাতায় পাতায় থাকত বিজ্ঞাপন। তা-ই এই বইয়ের মূল উপাদান। আলোচ্য দোকানদারি ‘ঔষধ-আতর-তৈলাদি’।”
বইয়ে এই প্রসঙ্গেই তখনকার সমাজ, স্বাস্থ্য, যৌনতা, লেখাপড়া, শ্রীলতা-অশ্লীলতা এবং স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ের নিরিখে বিজ্ঞাপন এবং পণ্য পসরাকে দেখা হয়েছে।
সামাজিক অবস্থা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘ঔষধ-আতর-তৈলাদি’র কারবার চলেছে, তারই এক কৌতুকপ্রদ বিবরণ রয়েছে এই বইয়ে।
বিচার-বিশ্লেষণ ও প্রতিপাদ্যের ক্ষেত্রে অহেতুক গাম্ভীর্য কিংবা অকারণ লঘুতার আশ্রয় নেওয়া হয়নি। বলার কথা আরও এই যে, কোনও ধরনের মরালিটি নজু কেবল রিয়েলিটির প্রেক্ষিতেই বিষয়গুলিকে দেখা হয়েছে।
বাউল সাধনার নামে বেশ কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তথাকথিত উচ্চকোটির সংস্কৃতির ভেতর রয়েছে, বাউল সাধনা মানে কেবল ও. মুত খাওয়া আর মেয়েদের মাসিকচর্চা। বহমান এই ধারনার ভেতর রয়েছে সাধনবৃত্তেরই কিছু ব্যভিচার ও যৌনবিকৃতি। এই বইয়ের মধ্যে বাউল সাধনা বর্ণিত হয়েছে এমন এক লেখকের হাতে, যিনি তাঁর বয়ঃসন্ধির কাল হতে চৌদ্দ বছর ধরে আখড়ায় থেকে এই নারী-পুরুষের যুগল মিলনের সাধনাকে প্রত্যক্ষ করেছেন। দেখেছেন প্রবীণ, প্রাজ্ঞ, সিদ্ধ সাধককে; অশিক্ষিতা অথচ অতীন্দ্রিয় ভাবের অধিকারিণী সাধন সঙ্গিনীকে।
বুদ্ধের মৃত্যুর সময় ৪৮৬ খ্রিঃ পূঃ আগে থেকে বাঙালি বণিকরা সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছিল ব্রহ্মদেশ-মালয়-সিংহলে এমন জানা যায়। প্রথম শতাব্দীতে স্থলপথে আফগানিস্তান থেকে মধ্য এশিয়া বা তিব্বতে বাণিজ্য হয়েছিল এবং জলপথে আফ্রিকা ইউরোপ পর্যন্ত গিয়েছিল ভারতীয় পণ্য। ব্যাবিলনে পৌঁছেছিল বাংলার মসলিন বা শাল ও চন্দন কাঠের উপাদান। পালযুগে এসে সে বাণিজ্য সম্ভবনা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেই হিসেবে আড়াই হাজার বছরের ধারাবাহিক ইতিহাস রচনা সহজ নয়। তবে মুসলমান যুগের পরে বাঙালির বাণিজ্যে ভাঁটা পড়ে। সেন যুগে রাজশক্তির সাথে বণিকদের বিরোধ বাঁধে যার ফলশ্রুতিতে বাণিজ্য ধূলিস্মাৎ হয়ে যায়।
বাংলার ধর্ম, দেবতা ও উৎসবের উদ্ভব হয়েছে বাংলার প্রকৃতিকে নির্ভর করে। ঘরোয়া বাঙালি আজও প্রকৃতি পুজোর মধ্যে দিয়ে জীবন শুরু করে থাকে। সে পুজোয় বৈদিক, অবৈদিক সমস্ত ধর্মই মিলেমশে আছে। তবে ঐতিহাসিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের আত্মপ্রকাশের মধ্যে দিয়ে বাংলার ধর্ম, দেবতা গুলির একটা ধারাবাহিক পরিচয় মেলে। বাংলার প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম গুলির মধ্যে জৈনধর্মের স্থান সবার আগে। জৈনসম্প্রদায়ের প্রাচীন নাম নির্গন্থ। অশোকের শিলালিপিতে নির্ণন্থসম্প্রদায়ের কথা আছে। বাংলার জনপদ, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির শিকড়ের সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের দীর্ঘ সংযোগের ইতিহাস প্রথম আলোকিত করেন মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। বাংলায় শৈবধর্ম ও শাক্তধর্মের ইতিহাসও যথেষ্ট প্রাচীন। শিব অবৈদিক ও বৈদিক, ব্রাহ্মণা-হিন্দু সমন্ত ধর্মের সঙ্গেই যুক্ত। তান্ত্রিক ধর্মের প্রাচীনতায় শাক্তদেবী ও শাক্তধর্মের ঐতিহ্যও বাংলায় যথোট পুরাতন। তবে বাংলার ধর্ম সংস্কৃতিতে সর্বাত্মক প্রভাব বিস্তার করেন মহাপ্রভুর বৈষ্ণব ভক্তি আন্দোলন। অন্যদিক ইসলামের পীর ফকির সম্প্রদায় যালোর জনপদ গুলিতে সুফী প্রেমভক্তির যে বিগলিত ধারা ছড়িয়ে দেন বাংলার ধর্মসংস্কৃতির ইতিহাসে তার অবদানও কিছু নয়। তারপর আসে হিন্দু ও ইসলামের মিলিত সাধনার কথা। বাংলার লোকায়ত ধর্মের সাধকরা অসাম্প্রদায়িক মানব ধর্মের সূচনা করেন। বাংলার লোকদেবতা ও লোকোৎসব গুলি বাংলার নিজস্ব ধর্ম সাধনার ইতিহাসকে ধারণ করে আছে আর একভাবে। বর্তমান গ্রন্থে বাংলার ধর্ম, দেবতার সঙ্গে আলোচিত হয়েছে গ্রামদেবভা ও লোকোৎসব গুলিরও।
শ্রী নীরেন্দ্রনাথ ভাদুড়ি। সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। পড়াতেন সংস্কৃত কিন্তু একাডেমিক কৌতূহলে যোগ দেন তন্ত্রের অন্দরে। বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় ভরপুর বহুবর্ণের জীবন!
‘নীরেন ভাদুড়ি’ সমগ্রের এই প্রথম খন্ডে, সেই সব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া একটি উপন্যাস আর দুটি বড় গল্পের সংকলন করা হয়েছে।
গল্প:
অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ
পর্ণশবরীর শাপ
উপন্যাস:
নিকষছায়া।
বাংলার ধর্ম-সংস্কৃতির ইতিহাস বারবার রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে চলেছে। যে রপান্তরী ঘটুক, তার লক্ষন মানুষ ও তার পরিশোধন। বর্তমান গ্রন্থে বাংলার প্রায় হাজার বছরের ইতিহাসে এর ধর্ম-সংস্কৃতির ধারা যে যে রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে আধুনিক মানবিক সাধনায় এসে মিশেছে তাকে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
বই ছাপানোর সঙ্গে বিপননের প্রশ্নটি ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে, বিপনন প্রশ্নে সর্বপ্রথম কাজটিই হল গিয়ে বিজ্ঞাপন। পিডিএফ, ই-বুক, ফেসবুক, ব্লগ গ্রন্থবাণিজ্যকে অনলাইন বাজারের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেও ছাপা বইয়ের জন্য পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন এখনও বই বিপননের প্রধান ধারা। পুথি পরবর্তী ছাপখানা, ছাপার বিকল্প ই-বুক প্রযুক্তির গতিধারা মেখে তরতরিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলা বই। এও ঠিক। আর সবেতেই বিপননের প্রশ্নে অত্যন্ত পুরনো শব্দ বিজ্ঞাপন কথাটি জড়িয়ে। সময়ের পরত খুলে বিজ্ঞাপন তার ভাষা বদলেছে, পরিবর্তন ঘটে গেছে তার আঙ্গিকেরও। এই বইতে রয়েছে বাংলা বই ছাপার শুরুর কাল থেকে অদ্যাবধি বিপননী ঐতিহ্যের সেই ধারাবাহিকতা। বাংলা বইয়ের বিজ্ঞাপনের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস গ্রথিত হয়েছে এই বইতে।
“১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে হান্টার সাহেব ভারতবর্ষ ত্যাগ করলে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় সে-বছরই স্বদেশী শিল্প, সেই শিল্পের কারিগরকে বাঁচাতে তাদের জন্য বাজার তৈরির প্রথম সূত্রপাত করেছিলেন। সেই স্বদেশী শিল্পকে বিশ্বের দরবারে সরকারিভাবে পৌঁছে দিতে তাঁর বিলেত যাত্রা ও ইউরোপ ভ্রমণ। ভারতবর্ষে জি.আই. প্রোগ্রামের প্রথম ভাবনা যাঁর হৃদয়ে প্রথম আসে-সেই মানুষটি হলেন শ্রদ্ধেয় ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়। এ বছর সেই জি.আই, ভাবনার ১৫০ বছর পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষ্যে তাঁর প্রতি রইল আমাদের শ্রদ্ধাযুক্ত প্রণাম।”
নারীর কলমে নারী-পুরুষের কথা যখন উঠে আসে তার গভীরতা, ডিটেইল, সংলাপ, তীক্ষ্ণতা থাকে অনেক বেশি। বাংলা সাহিত্যে শতবর্ষ আগে অন্তরীণ নারীদের কলমেও ফুটে উঠেছে বহির্জগত। বিশেষত বাংলার বাইরে বাংলা সাহিত্যের পটভূমি প্রথম রচনা করেন নারীরাই।
#বইচিত্র
মূল্য ৬০০/-








