Weight
0.5 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
Brun sen
ISBN
9789392216930
Language
Bengali
Publisher
Mousumi
Publishing Year
2025
চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন। Chainik Paribrajok Pha- Hien
চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন। Chainik Paribrajok Pha- Hien
‘গান উজানের যাত্রী’, লেখক: কঙ্কণ ভট্টাচার্য
এই বইয়ে তিন ধরনের লেখা আছে। শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা, সময় ও সামাজিক মানচিত্রে যৌবন এবং শেষ পর্যায়ে সারা জীবনের গানযাপন। এই পর্যায়ে আছে কয়েকজন পথপ্রদর্শক শিক্ষকের কথা ও বেশ কিছু নির্বাচিত গান। এই বই আত্মজীবনী নয়, একজন সৃষ্টিশীল সঙ্গীত কর্মীর গানযাপনের কাহিনী, যেখানে ধরা দিয়েছে পরিবর্তনশীল সময় ও মানুষ।
যেহেতু স্রোতের বিপরীতে সৃষ্ট গানবাজনা মূলস্রোতের মিউজিক মিডিয়াতে তেমন প্রচারিত হয়না, এই বই গানগুলিকে ধরে রাখারও একটা প্রয়াস। সেই কারণে গান হয়ত একটু বেশিই আছে। পাঠকের কাছে গানগুলি যাতে কেবলমাত্র বাণীতেই আবদ্ধ না থাকে তাই ইউটিউবে প্রকাশিত গানগুলির ক্ষেত্রে গানের #কিউ_আর_কোড (#QR_CODE) বাণীর পাশে দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী পাঠক শ্রোতা স্মার্ট ফোনে ওই কোড স্ক্যান করলে গানটি বেজে উঠবে। এতে আশাকরি একটু সুবিধাই হবে।
শহরের বিশিষ্ট গাইনোকোলোজিস্ট ডক্টর মোহনা মিত্র নিরুদ্দেশ। চূড়ান্ত পেশাদার ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ডক্টর মিত্র নিজের ফার্টলিটি সেন্টার তৈরি করছিলেন। এই হাসপাতালকে শহরের এক নম্বর ফার্টিলিটি ক্লিনিক হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তাঁর এই আকস্মিক অন্তর্ধানের তদন্ত করতে নেমে পুলিশের সিনিয়ার ইন্সপেক্টর সুশোভন রায় ও তাঁর অধস্তন অফিসার পলাশের সামনে একে একে উঠে আসতে থাকে আশ্চর্য সব তথ্য। তাঁরা জানতে পারেন, অনতিদূর অতীতে শহরে একের পর এক খুন হয়েছে চিকিৎসা জগতের সঙ্গে যুক্ত নানান ব্যক্তি। মোহনা মিত্রের অপহরণ কি সেই ধারাবাহিক হত্যা রহস্যেরই অংশ। কে বা কারা করে চলেছে এসব হত্যা? কেনই বা করছে? মোহনা মিত্র কি আদৌ বেঁচে আছেন, নাকি তাঁকেও সরিয়ে দিয়েছে হত্যাকারী? সুশোভন ও পলাশ কি খুঁজে পাবে অপরাধীদের?
পার্কস্ট্রিটের এক কিউরিও শপ থেকে একটি পিরামিডের প্রাচীন মডেল খুব সস্তায় কিনে বাড়িতে নিয়ে এল ইউসুফ। পিরামিড বাড়িতে আনার পর থেকেই একে একে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় ইউসুফ ও তার স্ত্রী ফারজানা। এর পেছনে মিশরের কোন গোপন ইতিহাস লুকিয়ে আছে? ঘুল তাদের জীবনে কেন এল? তানিয়া কে? সে কী আদৌ মানুষ? কিভাবে মুক্তি পাবে ইউসুফরা? জানতে হলে পড়ুন ‘ঘুল’।
গিলগামেশ বিস্মৃত এক যুগের মহাকাব্য; সম্ভবত বিশ্বের প্রথম লিখিত মহাকাব্য যা লেখা হয়েছিল কাদার ট্যাবলেটে একপ্রাচীন লিপি কিউনিফর্মে। পাঁচ হাজার বছর আগে ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলের এক নগর উরুকের রাজা ছিলেন গিলগামেশ। তাঁর জীবন ও অমৃতের সন্ধানে তাঁর যাত্রার কাহিনি হল এই মহাকাব্য। এই গ্রন্থে রয়েছে মহাকাব্যের একটি গদ্যরূপ এবং ভূমিকায় বর্ণিত হয়েছে গিলগামেশ মহাকাব্য আবিষ্কার ও তার লিপির পাঠোদ্ধারের চাঞ্চল্যকর বিবরণ।
YEAR OF PUBLICATION – 2023
গোমতীর উপাখ্যান-এর কাহিনি গড়ে উঠেছে দুটি শ্রেণিকে কেন্দ্র করে। একদিকে রাজপরিবার, অন্যদিকে প্রজাপরিবার। উভয়ই সমান্তরালভাবে উপস্থাপিত। প্রকাশিত হয়েছে নিকৃষ্ট রাজপ্রাসাদ-ষড়যন্ত্র ও পরিবা কন্দ্রিক ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রের বিষাক্ত পরিবেশের পরিণামে যেমন রাজপরিবারের সদস্যরা নির্মজ্জত, তেমনই সাধারণ মানুষের এক রকম অস্তিত্ব-সংকটও প্রকাশিত। অন্ধকার ও ধূসরতা কোনো কোনো চরিত্রের জীবনসমগ্রের প্রতিভাস সৃষ্টি করেছে। এটি যেন ব্যক্তিমানুষের মনোদৈহিক জটিলতার বিন্যাস। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জীবনের বিচ্ছিন্নতা, নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ব, আত্মদহন ও ক্রমবর্ধমান ব্যর্থতার সর্বগ্রাসী আকর্ষণে কেউ কেউ হয়ে উঠেছে শূন্য, রিক্ত ও যন্ত্রণাদগ্ধ। গোমতীর উপাখ্যান মনোসংকট ও মনোবিশ্লেষণের নৈপুণ্যে আঙ্গিকগত অভিনবত্ব অর্জন করেছে।… বর্ণনাভঙ্গির অন্তরালে চিত্রনির্মাণ ও নাট্যরীতির অন্তর্বয়ন এক নতুন শিল্পমাত্রা সৃষ্টি করেছে। সর্বজ্ঞ দৃষ্টিকোণে সুনিয়ন্ত্রিত শিল্পরীতির সুগঠিত নাটক, স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত। সাহিত্য সাময়িকী, ৭ মে ২০২১।
ভদ্রলোকের নাম ইন্দ্রমোহন খাসনবিশ। বয়স আন্দাজ ৫৬-৫৭। চূড়ান্ত রকমের বইপোকা। আগে কাস্টমসে চাকরি করতেন, কিন্তু শুধুমাত্র নিরুপদ্রবে বই পড়বে বলেই, তিনি অবসরের আগেই অবসর নিয়েছেন। ইন্দ্রমোহন থাকেন উত্তর কলকাতার ২/১এ, রাজেন্দ্র ঘোষাল লেনের নিজস্ব পৈত্রিক বাড়িতে। স্ত্রী-বিয়োগ ঘটেছে অনেকদিন আগেই। ইন্দ্রমোহন নিজের হাতে বাজার করতে পছন্দ করেন। নিয়মিত ব্যায়াম করেন। নিতান্তই মাছে-ভাতে বাঙালি। মিষ্টি খেতেও ভারি পছন্দ করেন। বর্তমানে এই বাড়িতে থাকে তার একমাত্র পুত্র সন্মোহ। ও বেসরকারি ব্যাঙ্ককর্মী। পিতা-পুত্রের সম্পর্ক একেবারে বন্ধুর মতই। আর থাকে আরেকজন। প্রায়-বৃদ্ধ নিশীথ ষড়ঙ্গী। এই মানুষটি ইন্দ্রমোহনের বিয়ের সময়কাল থেকেই এই বাড়িতে আছেন। বলতে গেলে মূলত ইনিই সংসার সামলান।
Author – Proloy Basu
Publication – Khori Prakashani
Weight – 0.5kg
কল্পনার গোয়েন্দাকাহিনির ফেলু-ব্যোমকেশদের সঙ্গে বাস্তবের সত্যান্বেষীদের ফারাক বিস্তর। বাস্তবের অপরাধ-তদন্তে রোমাঞ্চ-উত্তেজনা ততটা নেই, যতটা রয়েছে পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়। নির্মাণের জগত্ মূলত, সৃষ্টির ততটা নয়। অপরাধীকে চিহ্নিত করার মধ্যেই কাল্পনিক গোয়েন্দার কাজ শেষ। বাস্তবের গোয়েন্দাদের দায় শুধু অপরাধের কিনারাতেই শেষ নয়, নিখুঁত তদন্তে দোষীর শাস্তিবিধান পর্যন্ত অবকাশ নেই বিশ্রামের। অভিজ্ঞ আই পি এস অফিসার সুপ্রতিম সরকারের এই বইটিতে ধরা আছে কলকাতার বারোটি চাঞ্চল্যকর খুনের মামলার রুদ্ধশ্বাস নেপথ্যকথা, রক্তমাংসের গোয়েন্দাদের কীর্তি, তদন্তের কী-কেন-কখন। গোয়েন্দাপীঠ লালবাজারের সঙ্গে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের তুলনা যে সঙ্গত কারণেই হত, কাহিনিগুলি তার প্রামাণ্য দলিল। রহস্যপিপাসু পাঠকের রসনাতৃপ্তির রসদ ছড়িয়ে আছে পাতায় পাতায়। নিছক অপরাধের ঘটনাপ্রবাহ নয়, স্বাদু লেখনী আর টানটান বিন্যাসে এ বইয়ের অনায়াস উত্তরণ অপরাধ-সাহিত্যের নতুন ধারায়।
জয়ন্ত-মানিক, কিরীটি, ব্যোমকেশ কি ফেলুদার মতো গল্পের গোয়েন্দা নয়, এই গোয়েন্দারা বাস্তবের। চরিত্ররাও রক্তমাংসের, আর কাহিনি ‘গল্প হলেও সত্যি’ শ্রেণিভুক্ত। গত শতকের ত্রিশের দশকের পাকুড় হত্যা মামলা দিয়ে শুরু, শেষ মাত্র দশ বছর আগের লুথরা হত্যাকাণ্ডে। নানা কারণে এই এক ডজন খুনের রুদ্ধশ্বাস কাহিনি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের শতাব্দী-পেরোনো ইতিবৃত্তে উজ্জ্বল হয়ে আছে। গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার (আনন্দ) বইয়ে ঝরঝরে ভাষায় সেই সব তদন্তপদ্ধতির বিবরণ রচনা করেছেন বর্তমানে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। ‘লেখাগুলি একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে উপায় থাকে না’, ভূমিকায় নগরপাল রাজীব কুমারের মন্তব্যটি যথার্থ। সঙ্গে তারই প্রচ্ছদ।
কল্পনার গোয়েন্দার জগৎ মূলত ‘সৃষ্টির’। বাস্তবের গোয়েন্দার জগৎ ‘নির্মাণের’। সৃষ্টি আর নির্মাণের এই পার্থক্য, গল্পের গোয়েন্দার কীর্তিকলাপের থেকে বাস্তবের গোয়েন্দার কর্মকাণ্ডের এই তফাতই গোয়েন্দাপীঠ সিরিজের আধার। নামে ‘সমগ্র’, আসলে দলিল। বাস্তবের তদন্ত-আখ্যানের যে দলিল ব্যাপ্ত উনিশ শতকের ধূসর অতীত থেকে একুশ শতকের ঘটমান বর্তমান পর্যন্ত। ‘গোয়েন্দাপীঠ সমগ্র’ স্রেফ রহস্যরসিকের রসনাতৃপ্তির রসদ নয়। আগামীর তদন্তশিক্ষার্থীর দিকদর্শকও।
রাজ পরিবারের ইতিহাস সবসময়ই বিশ্বাসঘাতকতা আর খুনোখুনির মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস।
মধ্যযুগের বিশ্বের ইতিহাসে রাজপরিবারে গুপ্তহত্যার এমনইকিছু রোমহর্ষক, রক্তাক্ত ঘটনা নিয়ে কাহিনি এগিয়েছে। সেখানে যেমন পরকীয়ায় লিপ্ত নিষ্ঠুর রানি আছেন,তেমনই বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত উন্মাদ সম্রাটও আছেন। উভকামী নিষ্ঠুর রাজার নির্যাতন আছে। আছে ধূর্ত মন্ত্রী আর আছে বিশ্বাসঘাতক ভাই।
সেই সমস্ত বেদনাদায়ক, নির্মম আর নিষ্ঠুর সত্যি ঘটনার আখ্যান ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসে এই বইয়ের পাতায় জীবন্ত দলিল হয়ে উঠেছে।
বইয়ের কথা:
সাত রকম অভিজ্ঞতার সতেরো রকম রঙে সাজানো শাশ্বতীর গল্প ভূবন। ‘হালুম’তার ব্যতিক্রম নয়। আলোর কথা আছে এখানে। আছে ভালোর কথা। তাই বলে কি মন্দ নেই, কালো নেই বা অন্ধকার নেই? আছে। জীবনের নিয়ম মেনেই আছে। তবে এক সময় তারা পিছু হঠেছে। মুখ লুকিয়েছে লজ্জায়। অন্ধকারকে ছিড়েখুঁড়ে মুখ দেখিয়েছে আলো। জীবন কীরকম, তা শুধু নয়। জীবন কী হলে ভালো হত তারই কথা বলে এই গল্পগুলো। এখানে চরিত্র বহুবিধ। বাঘ, কুমির, বানরছানা, ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, গাছ ইত্যাদিরা যেমন আছে তেমনি আছে রাজা, রাজকন্যা, চাষীর মেয়ে, পাঠশালার পোড়ো। সবাই মিলেই গড়ে তুলেছে আনন্দের সংসার।
লেখক পরিচিতি:
শাশ্বতী চন্দের জন্ম শিলিগুড়িতে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। লেখালেখির জগতে প্রবেশ ছাত্রজীবনে ‘শুকতারা’-এ প্রকাশিত গল্পের মাধ্যমে। অদ্যাবধি অসংখ্য গল্প প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। শিশু কিশোর সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক সাহিত্যেও সমান স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘পদ্মপাতায় জল’, ‘এবং আগামীকাল’ ও ‘টুপুরের পুষ্যিরা’। প্রিয় নেশা বই পড়া ও বেড়ানো।
Publication – Pragga
Author – Krishnendu Das
Weight – 1.2kg
Binding – Hard Bound
Publication – Shabdo Prokashon
Author – Various Writers
Weight – 0.45kg
Binding – Hard Bound
হত্যান্বেষী
YEAR OF PUBLICATION : 2023
Weight
0.5 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
Brun sen
ISBN
9789392216930
Language
Bengali
Publisher
Mousumi
Publishing Year
2025
Specifications
Binding
Hard Board
Publishing Year
2025
Pages
320
ক্রোধ, ঘৃণা, প্রেম, প্রতিশোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং শক্তি— সবকিছুরই পরিণতি হিংস্রতা। হিংসা সত্যই কেবল আরও হিংসা ডেকে আনে।
এ হল এমন দুই মানুষের কাহিনী, যারা সম্পূর্ণ পৃথক প্রেক্ষাপট থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু দুজনেই যাত্রাপথ শেষ করে রাস্তায় হিংস্রতার সুদীর্ঘ চিহ্ন রেখে গিয়ে।
সর্বকালের সেরা যোদ্ধা হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এই দুই মানুষকে টেনে নিয়ে যায় নিষিদ্ধ অরণ্য— নিনগুয়ানি-তে। এই অরণ্য রহস্য আর কিংবদন্তিতে ঢাকা। শুধু প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে চলে এক আশ্চর্য কিংবদন্তি। এই অরণ্যই সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা বেছে নেওয়ার জন্য নির্বাচিত ক্ষেত্র— যুদ্ধদেবতা।
তারা কি সফল হবে? কে হয়ে উঠবে যুদ্ধদেবতা, আর পাশাপাশি যুদ্ধ করে যাবে নিজেরই অতীত থেকে উঠে আসা দানবের সঙ্গে?
স্মৃতিরা আজীবনের। আর আজীবন মানুষ বেঁচে থাকে স্মৃতি জমাবে বলেই। কিন্তু কিছু মানুষেরা শুধু স্মৃতি জমাতেই পৃথিবীতে আসে না, স্মৃতির মায়ায় সরলতা গুলে মিশিয়ে দেয় মনকেমনের ঢেউ। হরিনারায়ণপুরের বছর দশেকের হিরুও তা-ই। ও গ্রামের ম্যাজিকাল মানুষগুলোকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রেলগাড়ি করে এক অচেনা, অদেখা জীবনকে সহজভাবে খুঁজতে। খুঁজে ফেলে চুমু খেলে আঠা ছাড়াই দুটো ঠোঁট আটকে থাকে অনেকক্ষণ। ছায়া এমন এক জিনিস যা জলে পড়লে কোনো ঢেউ তৈরি করে না। আর কেউ-কেউ ফিরেও আসে সাইকেল হয়ে। ফিরে আসলে আবার চলেও যায়।
হিরুর জীবনেও এইসব ম্যাজিকাল মানুষরা আসে, থাকে, থেকেই যায় আবার চলেও যায়; হিরু খালি তাদের নিয়ে তাদের অজান্তেই বানিয়ে ফেলে নিজেই একটা আস্ত স্মৃতির রেলগাড়ি, যাতে থেকে যায় কিছুটা সত্যি, আর বাকিটা সত্যি হলেও গল্প…
বইয়ের কথা
দেবাঞ্জন প্রথম ভূতবাংলোটার কথা শুনেছিল এক ঝড়বৃষ্টির সন্ধেবেলা। ট্রেনে টাটানগর যাওয়ার পথে একজন বয়স্ক লোকের মুখ থেকে। লোকটা কথায় কথায় বলেছিল গোরুমারা জঙ্গলের গভীবে একটা ভাঙা বাংলো আছে। লোকে বলে ওটা ‘হান্টারসাহেবে ভূতব্যাংলো’। শুনেই দেবাংও ঠিক করল অয়নকে নিয়ে যে ভূষ দেখতে যাবে ওই বাংলোটায়। লোকটার মুখ থেকে শুনল, ওই বাংলোয় এখনও হান্টারসাহেবের ভূতের দেখা পাওয়া যায়। খুঁজতে-খুঁজতে লাটাগুড়িতে গিয়ে ওরা দেখা পেয়ে গেল মতিমুকুন্দ খটুয়ার সঙ্গে। গরুমারা জঙ্গলটা তার নখদর্পণে। যে গোরুমারা জঙ্গলের অনেক অজানা খবরও জানে। অন্ধকার ঘনিয়ে আসা এক বিকেলে দেবাংশু আর অয়ন মতিমুকুন্দর সঙ্গে একটা টোটোয় চড়ে চলল গোকুমারা জঙ্গলে সেই বাংলোর খোঁজে। তখন জঙ্গলের মাথায় রূপরূপ করে অন্ধকার নামছে। গভীর জঙ্গলে হান্টারসাহেবের সাদা ঘোড়া বিরহীর সমাধিটা পেথেতেই মতিমুকুন্দ বম মেরে দাঁড়িয়ে পড়ল। তারপর হাত তুলে অ্যাসবেস্টসের বড়-বড় ভাঙা জানলাওলা একচালা বাড়িটা দেখিয়ে ঘড়ঘড়ে বলব, ‘ওই হান্টারসাহেবের ভূতবাংলো’ তারপর।
লেখক পরিচিতি
রতনতনু ঘাটীর জন্ম ১৮৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন মেদিনীপুরে। বাবা স্বর্ণত সন্তোষকুমার, যা সুভদ্রা। স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরি। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকার সহ-সম্পাদকের। পদ থেকে অবসর গ্রহণ। একালের জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক। সত্তরটিরও বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে পনেরোটি কিশোরদের বই। ইংরেজি ও ওড়িয়া ভাষায় লেখা অনূদিত হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর লেখা ভুতের গল্প-উপন্যাস পাঠকদের মন জয় করেছে। ‘কমিকস দ্বীপে টিনটিন’ বইটির জন্যে শিশুসাহিত্যে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুরস্কার’। পেয়েছেন দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ কলকাতা এবং পারুল প্রকাশনীর যৌথ ‘শিশুসাহিত্য পুরস্কার’, হলদিয়া পৌরসভার নাগরিক সংবর্ধনা। পেয়েছেন ‘আন্তজার্তিক রূপসীবাংলা পুরস্কার’, ‘নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার’, ‘মেদিনীপুর রত্ন সম্মান’ ছাড়া আরও অনেক পুরস্কার। এ পর্যন্ত লন্ডন, প্যারিস, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, ভেনিস, ইতালি, রোম, মাউন্ট তিতলিস, সুইজারল্যান্ড, আমস্টারডাম, ব্রাসেলস, বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন।
খুলনার কলাপোতা গ্রামের ইন্দুর বিয়ে হলো কলকাতায়। দোজবরে মাতাল এক পুরুষের সঙ্গে। তিন সন্তান নিয়ে অল্পকালেই বিধবা। তারপর পূর্ব পাকিস্তান যেদিন হলো বাংলাদেশ, সেদিনই ছেনু মিত্তির লেনে প্রথম আঁচ পড়লো ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে। এই উপন্যাসে ছেনু মিত্তির লেনের ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ছুঁয়ে থাকে এক টুকরো খুলনা আর আমাদের রান্নাঘরের ইতিহাস- মন কেমনের গল্প।
আবার শত্রুর নিশানায় ভারত। বোমা, গুলি, মিসাইল দিয়ে নয়। এমনকী সাইবার-অ্যাটাকও নয়। এবার শত্রু পাঠাল এমন খুনিকে- যাদের চোখে দেখাই যায় না! তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত মাঠে নেমে পড়ল ভারতীয় যোদ্ধারাও। তারপর কী হল?
এশিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত জুড়ে, গত তিন দশকের নানা মাইলফলক ছুঁয়ে তৈরি হয়েছে এই রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার। এ শুধু রোমাঞ্চর স্বাদই দেয় না, সঙ্গে বুঝিয়েও দেয় আজকের বিশ্বরাজনীতির হালহকিকত। আসুন, জাহান্নমের সওদাগরদের সঙ্গে আপনাদের আলাপ করিয়ে দিই।


