অরুণা, দিয়া, সুস্মিতা, মৃত্তিকা… এই ফোর মাস্কেটিয়ার্সের সঙ্গে দুজন ফাউ ছিল প্রিয়াংশু আর তমাল। সময়ের চোরাপথে জীবনের জটিল সমীকরণে এরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিল। পরিণাম ভয়ানক বীভৎস মৃত্যু! আর সেই যমদূতের সংকেত বয়ে আনত একটি বিড়ালের ডাক, ম্যাও। কিন্তু কেন? কেসটা নিজেই হাতে নিল লালবাজারের তরুণ গোয়েন্দা স্বয়ম্ভু সেন। সঙ্গে যোগ্য সহকারী শিবাঙ্গী বসু। গোয়েন্দাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তাঁরই সামনে খুন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক। এমনকি খুনের ভিডিয়োও পাঠিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে ঠিক কীভাবে খুন করা হয়েছে। কিন্তু বিড়ালের ডাকের সঙ্গে এই নরহত্যার সম্পর্ক কী? এই কেসের সমাধান করতে না পারলে স্বয়ম্ভুকে বেছে নিতে হবে স্বেচ্ছাসাজা, যাবজ্জীবন অথবা ফাঁসি। স্বয়ম্ভু কীভাবে রহস্যের ঝুলি থেকে আসল বিড়ালটাকে খুঁজে বের করবে? কীভাবেই বা বন্ধ হবে শহরজুড়ে রক্তের হোলিখেলা?
-
DEVGANER KOLIKATAY AGAMAN | দেবগণের কলিকাতায় আগমন
Original price was: ₹475.00.₹380.00Current price is: ₹380.00.দুর্গাচরণ তাঁর বইখানি তুলে দিতে চেয়েছিলেন, ‘সর্বকালের ভ্রমণ বিলাসীদের করকমলে’ অথচ বইটি কিন্তু নিছক এক ভ্রমণ কাহিনী আদৌ নয়। সেই সব পরিব্রাজকেরা কেউই মানুষ নন, দেবতা, যদিও মনুষ্য বেষে ও সংশ্লিষ্ট ক্লেশের শিকার হয়ে যতদূর সম্ভব মনুষ্য ভাবেই তাঁরা ভারতভূমি দর্শন করেছেন। ভ্রমণ পিপাসুদের মত প্রকৃতি দর্শনের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান দেবতারা দেখতে এসেছিলেন ইংরেজ শাসনের একশ বছর অতিক্রান্ত হলে পর কি কি বিষয়ে কতখানি পরিবর্তন ঘটেছে। দেশের প্রকৃত অবস্থা কি। জলাধিপতি বরুণ, যাঁর মর্ত্যধামে গতায়াত প্রায় নিয়মিত, ইংরেজ রাজত্ব সম্পর্কে প্রথমেই তিনি তাঁর মুগ্ধতার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘এ প্রকার বুদ্ধিমান ও প্রতাপশালী রাজা আমি কখন কোন যুগে চক্ষে দেখি নাই। পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন স্থান নাই, যেখানে ইহাদের রাজ্য নাই। স্বর্গে ইংরেজাধিকৃত স্থান নাই বটে, কিন্তু সত্বরেই বোধকরি, স্বর্গরাজ্যও ইংরাজদের করতলগত হইবে’।
একদিন ইন্দ্র, বরুণ প্রমুখেরা মর্ত্য বিষয়ে নারায়ণের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ক্রমে স্থির হল সব দেবতা একত্রে মর্ত্যধামে এসে চাক্ষুষ একবার ভারতের অবস্থা প্রত্যক্ষ করবেন। নারায়ণের সাধ, ‘একবার কোলকেতা দেখিতে ও কলের গাড়িতে চড়িতে বড় সাধ’। কিন্তু নারায়ণের এহেন আবদারে লক্ষ্মীদেবীর বয়ানে দেশী বিত্তবান বাবুদের মত নারায়ণের চরিত্র স্খলনের সম্ভবনার কথা বলে সাবধান করেছেন। “সেখানে গিয়ে যদি আরমানি বিবি পাও আর কি আমায় মনে ধরবে? না, স্বর্গের প্রতি ফিরে চাইবে? হয়তো তাদের সঙ্গে মিশে মদ, মুরগী, বিস্কুট, পাঁউরুটি খেয়ে ইহকাল পরকাল ও জাত খোয়াবে! শেষে জাতে ওঠা ভার হবে, আর দেখতে দেখতে যে বিষয়টুকু আছে তাও ক্ষোয়া যাবে। এমনও হতে পারে — ব্রাহ্মসমাজে নাম লিখিয়ে বিধবা বিয়ে করে বসবে। কিংবা থিয়েটারের দলে মিশে ইয়ারের চরম হয়ে রাতদিন কেবল ফুলুট বাজাবে ও লক্ষ্মীছাড়া হবে। শুনেছি কোলকাতার শীল না নোড়া কারা ৭৫ হাজার টাকায় কোন থিয়েটার কিনে দুই তিন লক্ষ টাকা উড়াইবার যোগাড় করেছে। আমিও শীঘ্র তাহাদের বাড়ী পরিত্যাগের ইচ্ছা করেছি’। খুব কম কথায় কলকাতার সেকালের বাবুদের ফূর্তি আর ফতুর হয়ে যাওয়ার চালু কিসস্যাগুলিকে লক্ষ্মীর বয়ানে লেখক পরিবেশন করেছেন, যাকে বলে প্রথম চোটেই। এরপর মহাদেবের সঙ্গেও মর্ত্যযাত্রার বিষয়ে কথোপকথনে মর্ত্যের, বিশেষ্ট কলকাতার সাম্প্রতিকতম অবস্থা , বাবুয়ানি সম্পর্কে লেখকের ভাষ্য এই রচনাকে ভ্রমণ কাহিনীর বাঁধা ছক থেকে বার করে এনে এক সরস সামাজিক ধারা বিবরণীতে উত্তীর্ণ করেছে।
Editor : Kaushik Dutta
Binding : Hardcover
Language : Bengali
Publisher : Khori
-
Aparajita Satyajit 4th Part || অপরাজিত সত্যজিৎ ৪র্থ পর্ব
Original price was: ₹450.00.₹360.00Current price is: ₹360.00.যত বই, যত লেখা, যত অনুষ্ঠান হবার কথা ছিল, হয়নি। জন্মশতবর্ষের সূচনা থেকে তবুও তিনি রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল জুড়ে।
বাঙালির হলেও তিনি সর্বজনীন। ছবি তৈরিতে মহারাজা। যে কাহিনি পছন্দের তাকে নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন। যে শিল্পী উপযোগী, তাঁকে দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন। তাঁর পরশে নবাগতরাও বিখ্যাত হয়েছেন। সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় অবাধে ঘুরেছেন তিনি।
সত্যজিৎ-ই প্রথম ভারতীয় পরিচালক যিনি চার্লি চ্যাপলিনের পরে সিনেমার জন্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন ডক্টরেট ডিগ্রি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ড, জাপান প্রভৃতি দেশে আজও তিনি অম্লান। অনেক অজানা। কথা, অজানা ঘটনা, গবেষণা নিয়ে “অপরাজিত সত্যজিৎ’। সত্যজিৎ-চর্চার এ এক দুর্লভ সংকলন।


















































