Weight
0.5 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
Brun sen
ISBN
9789392216930
Language
Bengali
Publisher
Mousumi
Publishing Year
2025
বইয়ের কথা:
সাত রকম অভিজ্ঞতার সতেরো রকম রঙে সাজানো শাশ্বতীর গল্প ভূবন। ‘হালুম’তার ব্যতিক্রম নয়। আলোর কথা আছে এখানে। আছে ভালোর কথা। তাই বলে কি মন্দ নেই, কালো নেই বা অন্ধকার নেই? আছে। জীবনের নিয়ম মেনেই আছে। তবে এক সময় তারা পিছু হঠেছে। মুখ লুকিয়েছে লজ্জায়। অন্ধকারকে ছিড়েখুঁড়ে মুখ দেখিয়েছে আলো। জীবন কীরকম, তা শুধু নয়। জীবন কী হলে ভালো হত তারই কথা বলে এই গল্পগুলো। এখানে চরিত্র বহুবিধ। বাঘ, কুমির, বানরছানা, ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, গাছ ইত্যাদিরা যেমন আছে তেমনি আছে রাজা, রাজকন্যা, চাষীর মেয়ে, পাঠশালার পোড়ো। সবাই মিলেই গড়ে তুলেছে আনন্দের সংসার।
লেখক পরিচিতি:
শাশ্বতী চন্দের জন্ম শিলিগুড়িতে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। লেখালেখির জগতে প্রবেশ ছাত্রজীবনে ‘শুকতারা’-এ প্রকাশিত গল্পের মাধ্যমে। অদ্যাবধি অসংখ্য গল্প প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। শিশু কিশোর সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক সাহিত্যেও সমান স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘পদ্মপাতায় জল’, ‘এবং আগামীকাল’ ও ‘টুপুরের পুষ্যিরা’। প্রিয় নেশা বই পড়া ও বেড়ানো।
Publication – Pragga
Author – Krishnendu Das
Weight – 1.2kg
Binding – Hard Bound
Publication – Shabdo Prokashon
Author – Various Writers
Weight – 0.45kg
Binding – Hard Bound
হত্যান্বেষী
Weight
0.5 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
Brun sen
ISBN
9789392216930
Language
Bengali
Publisher
Mousumi
Publishing Year
2025
Specifications
Binding
Hard Board
Publishing Year
2025
Pages
320
ক্রোধ, ঘৃণা, প্রেম, প্রতিশোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং শক্তি— সবকিছুরই পরিণতি হিংস্রতা। হিংসা সত্যই কেবল আরও হিংসা ডেকে আনে।
এ হল এমন দুই মানুষের কাহিনী, যারা সম্পূর্ণ পৃথক প্রেক্ষাপট থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু দুজনেই যাত্রাপথ শেষ করে রাস্তায় হিংস্রতার সুদীর্ঘ চিহ্ন রেখে গিয়ে।
সর্বকালের সেরা যোদ্ধা হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এই দুই মানুষকে টেনে নিয়ে যায় নিষিদ্ধ অরণ্য— নিনগুয়ানি-তে। এই অরণ্য রহস্য আর কিংবদন্তিতে ঢাকা। শুধু প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে চলে এক আশ্চর্য কিংবদন্তি। এই অরণ্যই সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা বেছে নেওয়ার জন্য নির্বাচিত ক্ষেত্র— যুদ্ধদেবতা।
তারা কি সফল হবে? কে হয়ে উঠবে যুদ্ধদেবতা, আর পাশাপাশি যুদ্ধ করে যাবে নিজেরই অতীত থেকে উঠে আসা দানবের সঙ্গে?
স্মৃতিরা আজীবনের। আর আজীবন মানুষ বেঁচে থাকে স্মৃতি জমাবে বলেই। কিন্তু কিছু মানুষেরা শুধু স্মৃতি জমাতেই পৃথিবীতে আসে না, স্মৃতির মায়ায় সরলতা গুলে মিশিয়ে দেয় মনকেমনের ঢেউ। হরিনারায়ণপুরের বছর দশেকের হিরুও তা-ই। ও গ্রামের ম্যাজিকাল মানুষগুলোকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রেলগাড়ি করে এক অচেনা, অদেখা জীবনকে সহজভাবে খুঁজতে। খুঁজে ফেলে চুমু খেলে আঠা ছাড়াই দুটো ঠোঁট আটকে থাকে অনেকক্ষণ। ছায়া এমন এক জিনিস যা জলে পড়লে কোনো ঢেউ তৈরি করে না। আর কেউ-কেউ ফিরেও আসে সাইকেল হয়ে। ফিরে আসলে আবার চলেও যায়।
হিরুর জীবনেও এইসব ম্যাজিকাল মানুষরা আসে, থাকে, থেকেই যায় আবার চলেও যায়; হিরু খালি তাদের নিয়ে তাদের অজান্তেই বানিয়ে ফেলে নিজেই একটা আস্ত স্মৃতির রেলগাড়ি, যাতে থেকে যায় কিছুটা সত্যি, আর বাকিটা সত্যি হলেও গল্প…
বইয়ের কথা
দেবাঞ্জন প্রথম ভূতবাংলোটার কথা শুনেছিল এক ঝড়বৃষ্টির সন্ধেবেলা। ট্রেনে টাটানগর যাওয়ার পথে একজন বয়স্ক লোকের মুখ থেকে। লোকটা কথায় কথায় বলেছিল গোরুমারা জঙ্গলের গভীবে একটা ভাঙা বাংলো আছে। লোকে বলে ওটা ‘হান্টারসাহেবে ভূতব্যাংলো’। শুনেই দেবাংও ঠিক করল অয়নকে নিয়ে যে ভূষ দেখতে যাবে ওই বাংলোটায়। লোকটার মুখ থেকে শুনল, ওই বাংলোয় এখনও হান্টারসাহেবের ভূতের দেখা পাওয়া যায়। খুঁজতে-খুঁজতে লাটাগুড়িতে গিয়ে ওরা দেখা পেয়ে গেল মতিমুকুন্দ খটুয়ার সঙ্গে। গরুমারা জঙ্গলটা তার নখদর্পণে। যে গোরুমারা জঙ্গলের অনেক অজানা খবরও জানে। অন্ধকার ঘনিয়ে আসা এক বিকেলে দেবাংশু আর অয়ন মতিমুকুন্দর সঙ্গে একটা টোটোয় চড়ে চলল গোকুমারা জঙ্গলে সেই বাংলোর খোঁজে। তখন জঙ্গলের মাথায় রূপরূপ করে অন্ধকার নামছে। গভীর জঙ্গলে হান্টারসাহেবের সাদা ঘোড়া বিরহীর সমাধিটা পেথেতেই মতিমুকুন্দ বম মেরে দাঁড়িয়ে পড়ল। তারপর হাত তুলে অ্যাসবেস্টসের বড়-বড় ভাঙা জানলাওলা একচালা বাড়িটা দেখিয়ে ঘড়ঘড়ে বলব, ‘ওই হান্টারসাহেবের ভূতবাংলো’ তারপর।
লেখক পরিচিতি
রতনতনু ঘাটীর জন্ম ১৮৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন মেদিনীপুরে। বাবা স্বর্ণত সন্তোষকুমার, যা সুভদ্রা। স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরি। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকার সহ-সম্পাদকের। পদ থেকে অবসর গ্রহণ। একালের জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক। সত্তরটিরও বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে পনেরোটি কিশোরদের বই। ইংরেজি ও ওড়িয়া ভাষায় লেখা অনূদিত হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর লেখা ভুতের গল্প-উপন্যাস পাঠকদের মন জয় করেছে। ‘কমিকস দ্বীপে টিনটিন’ বইটির জন্যে শিশুসাহিত্যে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুরস্কার’। পেয়েছেন দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ কলকাতা এবং পারুল প্রকাশনীর যৌথ ‘শিশুসাহিত্য পুরস্কার’, হলদিয়া পৌরসভার নাগরিক সংবর্ধনা। পেয়েছেন ‘আন্তজার্তিক রূপসীবাংলা পুরস্কার’, ‘নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার’, ‘মেদিনীপুর রত্ন সম্মান’ ছাড়া আরও অনেক পুরস্কার। এ পর্যন্ত লন্ডন, প্যারিস, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, ভেনিস, ইতালি, রোম, মাউন্ট তিতলিস, সুইজারল্যান্ড, আমস্টারডাম, ব্রাসেলস, বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন।
খুলনার কলাপোতা গ্রামের ইন্দুর বিয়ে হলো কলকাতায়। দোজবরে মাতাল এক পুরুষের সঙ্গে। তিন সন্তান নিয়ে অল্পকালেই বিধবা। তারপর পূর্ব পাকিস্তান যেদিন হলো বাংলাদেশ, সেদিনই ছেনু মিত্তির লেনে প্রথম আঁচ পড়লো ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে। এই উপন্যাসে ছেনু মিত্তির লেনের ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ছুঁয়ে থাকে এক টুকরো খুলনা আর আমাদের রান্নাঘরের ইতিহাস- মন কেমনের গল্প।
আবার শত্রুর নিশানায় ভারত। বোমা, গুলি, মিসাইল দিয়ে নয়। এমনকী সাইবার-অ্যাটাকও নয়। এবার শত্রু পাঠাল এমন খুনিকে- যাদের চোখে দেখাই যায় না! তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত মাঠে নেমে পড়ল ভারতীয় যোদ্ধারাও। তারপর কী হল?
এশিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত জুড়ে, গত তিন দশকের নানা মাইলফলক ছুঁয়ে তৈরি হয়েছে এই রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার। এ শুধু রোমাঞ্চর স্বাদই দেয় না, সঙ্গে বুঝিয়েও দেয় আজকের বিশ্বরাজনীতির হালহকিকত। আসুন, জাহান্নমের সওদাগরদের সঙ্গে আপনাদের আলাপ করিয়ে দিই।
জঙ্গল, নদী, ঝর্ণা, পাহাড় ও বিপুল খনিজ সম্পদে ভরা প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের গড়ে ওঠার নেপথ্যকাহিনি, সেখানকার জনজীবনের নিত্য-নৈমিত্তিক লড়াই ও শোষণের অপূর্ব দলিল এই বই।
বিবাহবিচ্ছিন্না মেয়ে মানেই আড়চোখে দেখার শো পিস। পুরুষের ছুঁয়ে দেখার অলিখিত ছাড়পত্র। নীল ছবির মোহে পুড়ে যায় বয়ঃ সন্ধিকাল। কখনও সময়ের নাগপাশে মিলনও ধর্ষণ হয়ে যায়। সম্পর্কে লাগে রক্তের দাগ। সুপারি কিলারের ছোবল বনাম বাতিল জীবনের মর্মান্তিক আঘাত। খবর আসে, ঝুলে আছে সন্তানের দেহ। কূল ভাঙে মায়ের বুকে। অবৈধ জন্ম যদি অন্যায় হয়, তাহলে অনাহুত প্রাণের মৃত্যুও পাপ। এতো কিছুর পরেও মানুষ বেঁচে থাকে। পচনশীল সমাজে ঘুণ ধরা সম্পর্কে টিকে থাকাও এক সাধনা। ক্লান্ত শরীরে দক্ষিণের ঘরে জিরোতে গিয়ে জেগে ওঠে চেতনা। ঝড়ে হারিয়ে যেতে যেতে ভাঙনের পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলার গল্পই ধরা আছে এই সংকলনে। আসলে এই গল্পগুলো আমাদেরই জীবন থেকে খাবলে তুলে নেওয়া একেকটা হীরক-মুহূর্ত!
Publishing Year
2020
Specifications
Binding
Hard Board
পটকথা
মনুষ্য সমাজ গঠনে নারী-পুরুষ সৃষ্টির কথায় মনু তাঁর সংহিতায় (১৩২) লিখেছেন—’স্রষ্টা নিজের দেহ দ্বিধা বিভক্ত করে অর্থভাগে পুরুষ হলেন, অপর অর্ধে নারী হলেন। প্রথম দিকে সন্তান জন্ম বিষয়ে – পুরুষ কার কী ভূমিকা তা মানুষ বুঝে উঠতে পারেনি। মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ হল। গোষ্ঠী বা কৌম ভেঙে যখন পরিবারের সূচনা হয় তখন নারীর উপর পুরুষের স্বত্বাধিকার সমাজ মেনে নেয়।
একটা সময় ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র এই বর্ণে বিভক্ত করা হয়। কর্মানুসারে। ‘ব্রাহ্মণদের জন্য অধ্যাপনা, অধ্যয়ন, যজন যাজন, দান ও প্রতিগ্রহ’ এবং ‘ক্ষত্রিয়ের কর্ম লোকরক্ষা, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন’ ও “বৈশ্যের কর্ম পশুপালন, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন, সুদে অর্থ বিনিয়োগ ও কৃষিকর্ম বলা হয়েছে। শূদ্রের কর্মের কথা বলা হয়েছে— তা হল এই সকল বর্ণের অসুয়াহীন সেবা করা’ (মনুসংহিতা ১/৮৮/১১)।
সমাজবন্ধনকে দৃঢ় রাখতে সামাজিক নিয়মে বলে দেওয়া হয়েছিল। “কোনো বর্ণের পুরুষ অন্য বর্ণের স্ত্রীকে বা এক বর্ণের স্ত্রী অন্য বর্ণের পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না।’ কিন্তু কাম এত প্রবল যে তা আইন করে রক্ষা করা যায়নি। মনু তাঁর সংহিতায় (২/২১৫) জানিয়ে রেখেছেন, ‘মা, বোন বা মেয়ের সঙ্গে শূন্য গৃহাদিতে পুরুষ থাকবে না। শক্তিশালী ইন্দ্রিয়সমূহ বিদ্বান লোককেও বশীভূত করে।’
এই সূত্রে মনে করা যেতে পারে ঋগ্বেদে (১০/৬১/৫, ৭) নাভানেদিষ্ট সূক্তের পিতা-কন্যার অবৈধ সম্পর্ক। ঋগ্বেদে (১০/১০) যম-যমী সংবাদ সূক্তের বিষয় ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক। পুরুষের নারীর খোলাখুলি যেমন ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে (ঋগ্বেদ ৭/৮০/২), তেমনি সূর্য ঊষার উপপত্তি ‘জারোন’ বারে বারে ব্যবহৃত অংশ থেকে প্রণয়ের চিত্র বহুবার পাওয়া গেছে। ঋগ্বেদে (৭/৫৫/৫-৮) নারী হরণের উল্লেখ রয়েছে, জনৈক পুরুষ প্রেমিকাকে সময় প্রার্থনা করে সমস্ত পরিবার ঘুমে ঘুমিয়ে পড়ে। কুকুরগুলো পর্যন্ত ঘুমিয়ে যাতে সে নির্বিঘ্নে প্রেমিকাকে নিয়ে পালাতে পারে।
বৈদিক পুরুষের অধিকার ছিল একাধিক পত্নী এবং অসংখ্য উপপত্নী রাখা এবং গণিকার কাছে যাবার, স্ত্রীর উপপত্তি রাখার অধিকার ছিল না। উপপতিকে ধ্বংস করার জন্য উপাচার ক্রিয়ার বিধান দেওয়া বৃহদারণ্যক উপনিষদে (৪/৪/১২)। সময় নারীকে রাখা যেত, কেনা যেত, করা যেত, হলেও তখন যৌতুক হিসেবে নারীকে দেওয়া আবার উপহার হিসেবে যেত। উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের সবরকম বিধবাবিবাহ ও বহুবিবাহ করার যে অধিকার পেয়েছিল তা পরে হারিয়েছে। আর্যেরা যখন কৃষিজীবী হয়ে পড়ে, তখন জীবন সম্বন্ধে তাদের একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়। তাঁরা বললেন নারী হল ক্ষেত্র, আর
পুরুষ তার মধ্যে বীজ বপন করে। মনু যখন সংহিতা রচনা করেন
তখন তিনিও সেই কথাটিই বলেন এভাবে— ‘নারী ক্ষেত্রস্বরূপ, পুরুষ
বীজস্বরূপ। ক্ষেত্র ও বীজের মিলনে সকল দেহীর উৎপত্তি হয়’ (৯/৩৩)। নারীকে ক্ষেত্ররূপে বর্ণনা করে একই সঙ্গে ব্যভিচারের তথ্যকে জুড়ে দেন এভাবে— ‘এক বীজ যখন উপ্ত করা হয় তখন তাতে অন্য শস্য জন্মে না। যার বীজ উপ্ত হয়, তাই জন্মে’ (৯/৪০)। সুতরাং ‘প্রাজ্ঞ, শিক্ষিত, জ্ঞানবিজ্ঞানজ্ঞ, দীর্ঘায়ুকামী ব্যক্তি কর্তৃক পরস্ত্রীতে বীজ কখনও উপ্ত হওয়া উচিত নয়’ (৯/৪১)। ‘যারা ক্ষেত্রস্বামী নয়, বীজের মালিক, তারা পরের ক্ষেত্রে বীজবপন করলে উৎপন্ন শস্যের মালিক হয় না’ (৯/৪৯)। যেমন অন্যের গাভীতে একশো বাছুর উৎপাদন করলেও সেই বাছুরগুলি গাভীর মালিকেরই হয়। বৃষ স্বামীর নয়। বৃষের যে তা বৃষ স্বামীর পক্ষে নিষ্ফল’ (৯/৫০); ‘তেমনি স্ত্রীর স্বামী-ভিন্ন ব্যক্তি পরস্ত্রীতে বীজবপন করলে যার বীজ সে ফল লাভ করে না’ (৯/৫১); ‘জলের ঢেউ ও বায়ু দ্বারা চালিত বীজ যার ক্ষেত্রে অঙ্কুরিত হবে, সেই বীজ ক্ষেত্রস্বামীরই হবে, বপনকারী ফললাভ করে না’ (১/৫৪)।
ক্ষেত্র-নারী, ক্ষেত্রের ফসল অর্থাৎ অবৈধ সন্তানের মালিকানা ক্ষেত্রস্বামী হিসেবে নারীর। তাই ব্যভিচারের ক্ষেত্রবীজের ফসল দিয়েই পৃথিবীর আদিমতম নতুন সংসার তৈরি হয়ে ছিল—নাম বেশ্যালয়।
ঋগ্বেদ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত যৌনতা ব্যভিচার নিয়ে তৈরি হয়েছে নানান শব্দ, সম্ভবত সেই সংখ্যা আজ পর্যন্ত একত্রে প্রকাশিত হয়নি, হয়তো বা সেভাবে উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। আমরা শুধুমাত্র বৈদিক-যৌনতা বিষয়ের (প্রাচীন সাহিত্যে যৌনাচার বিষয়ক কিছু শব্দ, বর্তমান সময়ের আনোনদোবাজারের অর্থাৎ যেখানে মানুষ আনন্দ করতে আসে, সেই নিষিদ্ধপল্লির কিছু শব্দ এবং সংসার জীবনের যৌনতাবিষয়ক শব্দ নিয়ে তৈরি এই শব্দকোষটি।
গুপ্তচর সংস্থাগুলো তাদের কাজের জন্য সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে কীভাবে, তা এই বইতে লিপিবদ্ধ হয়ে রইল। ঝিঁঝিঁ যেমন বলে, কারো অজান্তেই তাকে কীভাবে একটা জায়গায় অনুপ্রবেশ করানো হয়, তাকে একটার পর একটা নির্দেশ মানতে বাধ্য করা হয়, অপারেশন জন্নত বলল একজন সাধারণ পাকিস্তানি ছেলেকে কাশ্মীরে মিশনে পাঠানোর গল্প।
এই দুই গল্পের আপাতদৃষ্টিতে কোন যোগাযোগ না থাকলেও আদতে এই গল্পদুটো যেন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে ইচ্ছে না থাকলেও একজন সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে পড়তে হয় নিজের অজান্তেই।
ঝিঁঝিঁ এবং অপারেশন জন্নত তাই আলাদা কাহিনি হয়েও আদতে একই বিষয়ের ওপরে দুটো পৃথক গল্প বলা…
অপারেশন জন্নত-
আরিফকে হঠাৎ করেই করাচি থেকে অন্য শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ছেলেটা জানত না তার জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। হঠাৎ করে যখন জানতে পারল তাকে আসলে একটা মিশনে রাখা হয়েছে, তার আর পালানোর পথ রইল না।
অপারেশন জন্নত আসলে কী? কেমন ছিল ছেলেটির অভিজ্ঞতা? অপারেশন জন্নত সে কাহিনিই বলে।
ঝিঁঝিঁ-
মাথার কাছে হঠাৎ করে ঝিঁঝিঁ পোকা ডেকে উঠল। কীভাবে এ পোকা ডেকে উঠল, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেনি ছেলেটা। ক্রমাগত নির্দেশ আসতে শুরু করল ঝিঁঝিঁ পোকাদের মাধ্যমে। ঠিক কোন ঠিকানায় নিয়ে চলল তাকে এই পোকারা?
জানার জন্য পড়তে হবে ঝিঁঝিঁ।
ফেলে আসা সময়ের কলকাতা নিয়ে নতুন করে আবার একটা বই, মানেই সেখানে নতুন তথ্য এসেছে, এমন নয়। বরং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে বিশ্লেষণ, বর্তমান সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা এই বই। চটজলদি যোগাড় করে পরিবেশন করা তথ্য নয়, পুরোনো সময়ে লেখার নতুন করে টিপ্পনি করাও নয়, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অতীতকে ফিরে দেখা, অল্প আলোচিত কিছু টুকরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা এটি। ইতিহাস যে শুধু ফিসফিস করে কথা বলে না, বর্তমান সময়ের নিকটতম প্রতিচ্ছবি হয়ে বিরাজ করে, সেকথা প্রমাণের চেষ্টাও রয়েছে অবশ্য। কলমের গুণমান কিংবা মসৃণ পাঠের আগাম নিশ্চয়তা না থাকলেও, পাঠকের কৌতূহল বাড়ানোর গ্যারান্টি থাকছেই
জানো কি?
বাসনা দাস্ত বইতে প্রাচ্ছাদটি আঁকতে গিয়ে সত্যজিৎ রায় প্রথমবারের মতো কী এমন করেছিলেন, যা এরপরে তাঁকে মাত্র একবারই করতে দেখা গিয়েছিন?
মোমবাতির আলোয় রহস্য কাহিনির চেয়ে ভুতের গল্প বেশি জমবে’-এই কথায় উৎসাহিত হয়ে, কোন বেস্টসেনিঃ লেখক তাঁর জীবনের একমাত্র ভুতের গল্পটি লিখেছিলেন? পিসিমার জমিদারির দেখাশোনা করার সময়, প্রজাদের কথা ফোনোয়াফে রেকর্ড করতে করতে, কোন লেখক। তাঁর সাহিত্যকর্মের রসদ জোগাড় করতেন?
বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানো ব্যারাকপুর-নিবাস
উপেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়-এর সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের যোগসুত্র কী ছিল? অতুলান্ড (মতান্তরে অঙুলানন্দ) দাশের
কন্যা, যাঁর ডাকনাম ছিল বেবী, কীভাবে বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছেন?
Prebook
২৫ এ মে পর্যন্ত চলবে এই Pre-Booking

