Author
Sukumar Samajpati
Binding
Hard Cover
No. of Pages.
424
Publisher
Ekalavya
Year of Publication
2025
Ayeshamangal - আয়েষামঙ্গল
Hercule Poirot - এরকুল পোয়ারো
Prantorer Gaan Amar - প্রান্তরের গান আমার
Khunje Khunje Khun - খুঁজে খুঁজে খুন
Goyenda Huka Kashi Samagra - গোয়েন্দা হুঁকা কাশি সমগ্র
Tambuli-Akhyan - তাম্বুলি-আখ্যান
Ayeshamangal - আয়েষামঙ্গল
Hercule Poirot - এরকুল পোয়ারো
Prantorer Gaan Amar - প্রান্তরের গান আমার
Khunje Khunje Khun - খুঁজে খুঁজে খুন
Goyenda Huka Kashi Samagra - গোয়েন্দা হুঁকা কাশি সমগ্র
Tambuli-Akhyan - তাম্বুলি-আখ্যান
কবি’র লোকসাধারণের কবিতার নতুন সংযোজন ‘আমরি বাংলা ভাষা’। এই সংকলনে উঠে এসেছে লোক সাধারণের বহুমাত্রিক জীবনের বহুবর্ণরঞ্জিত কথকতা। সংকলনে জায়গা পেয়েছে ২৩টি কবিতা। এর মধ্যে কবি’র জননন্দিত কবিতা ‘মৃণালের পত্র’ কে নিয়ে রয়েছে একটি শ্রুতিনাটক। কবি’র কলমে এই প্রথম কোনো কবিতা সংকলনে প্রকাশিত হল শ্রুতিনাটক। কবি এই প্রত্যয়ে গভীরভাবে বিশ্বাসী যে লোকসাধারণের কবিতা’কে কোনো দেশ কালের সংকীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ করা যায় না। এর ব্যাপ্তি সর্বজনীন। তাই এই সংকলনে বাংলার লোকসাধারণের সঙ্গে রয়েছে সুদূর আমাজনের বৃষ্টি অরণ্যের পরিবেশ সংরক্ষণের আদিবাসী আন্দোলনের নেত্রী নেমস্তে নেঙ্কিমোর কথা, আছে এই উপমহাদেশের মরুপাহাড়ের মৃত্যুঞ্জয়ী কবি তরুণী নাদিয়ার কথা, আছে তৃতীয় বিশ্বের শিশুমুক্তির অধিনায়ক ইবাবুল মাসিন’কে নিয়ে লেখা ‘এক শ্রমিক শিশুর জবানবন্দি’। এই সংকলনে লোকসাধারণের বাঁচন লড়াইয়ের পাশাপাশি তাদের ভালোবাসাকেও অন্য এক মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন কবি। তাই ‘ছাড়বাড়’ কবিতায় কি অবলীলায় মেয়েটি বলছে, ‘আমার কাঠকুড়াতে বেলা গেল / ভাতখাওকী বেলা / আমার ভাত রাঁধতে বেলা গেল / ঘুঘু ডাকা বেলা / ও সোঁদাল ভোমারা রে….. আমার মাথার। কিরা বলি তোকে / …. তুই দেখা হলে বলে দিবি উহাকে / আমি শালবনে দড়ি লিব | তবু নাই দেখব সতীনকে / আমার ভালোবাসায় গড়া ঘরে। / আমি নাই দেখব সতীনকে।’
“…নাউ আই উইল শিওরলি কমপ্লেইন ট্যু দ্য হোটেল অথরিটি।
আমি বললাম, তার সময় হয়তো আপনি আর পাবেন না। আমি ডিডি। দ্য গ্রেট দেবদূত দত্ত। চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।
বুড়ো জিজ্ঞেস করল, about what?
উত্তর দিলাম, ডাইরেক্টলি মেল সামবডি ট্যু যমের দক্ষিণ দুয়ার। দ্য সাউথ ডোর অফ দ্য গ্রেট যমরাজ।”…
বাউল, ফকির, সাধুসন্ত, ভৈরবী, তান্ত্রিক, কাপালিক, দরবেশ, সহজিয়া, অঘোরী সাধুদের সঙ্গে আখড়া শ্মশানে দীর্ঘ আঠারো- উনিশ বছর ধরে বাস করবার অভিজ্ঞতাগুলো নিয়েই গড়ে উঠেছে আখড়া শ্মশানের ডায়েরি। এই বই লেখকের দিনলিপি, আত্মজীবনের অংশভাগ। এর ভেতর ধরা রয়েছে দেহসাধনা, দেহতত্ত্বের হরেক রকমের গুহ্য গোপন যোগাচার, তন্ত্র সাধনার গুপ্তক্রিয়া। যা সিংহভাগ মানুষের কাছেই একেবারে অজানা।
আমার বাবা সত্যজিৎ রায়
সন্দীপ রায়
ছোটবেলা থেকে সত্যজিৎ রায়কে নানা ভূমিকায় দেখেছিলেন সন্দীপ রায়। কখনও তিনি স্নেহশীল পিতা। ছেলের জন্মদিনের কার্ডের ডিজ়াইন করছেন। কখনও আবার গুরুগম্ভীর পরিচালক। একের পর এক কালজয়ী ছবি পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। জিতে নিচ্ছেন পুরস্কার। আবার সেই মানুষই নিজের ঘরে বসে এক মনে লিখছেন ফেলুদা, শঙ্কুর কাহিনি। আঁকছেন বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবির পোস্টার। সুর দিচ্ছেন। সম্পাদনা করছেন ‘সন্দেশ’ পত্রিকার। পরবর্তীকালে যখন বাবার ইউনিটে কাজ করছেন, তখন আবার সত্যজিৎ রায়কে আর-একভাবে তিনি চিনেছিলেন। সেই সব অভিজ্ঞতা নিয়ে এই বই।
এখানে সত্যজিৎ রায় এবং তাঁর পারিপার্শ্বিক জগৎকে তুলে ধরেছেন সন্দীপ রায়। সেই সূত্রে এসেছে বিভিন্ন ছবির শুটিংয়ের ঘটনা। ছবি বিশ্বাস, উত্তমকুমার, কিশোরকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রবি ঘোষ থেকে মার্লন ব্র্যান্ডো, রিচার্ড অ্যাটেনবরো, জ়েরার্ড দেপারদিউ, আকিরা কুরোসাওয়া, ফ্র্যাঙ্ক কাপরা, রোমান পোলানস্কি, আর্থার সি ক্লার্ক এবং আরও অনেকের কথা।
‘আনন্দমেলা’য় ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার সময়ই এই লেখা সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এই বইয়ে লেখার সঙ্গে আরও কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য ছবি সংযোজিত হয়েছে।
বাঙালির যৌন আচরণ, অভ্যাস, অভিমুখ ও দৃষ্টিকোণ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম দিক। এই সবকিছু মিলিয়ে গড়ে উঠেছে বাঙালির যৌন-সন্দর্ভ। প্রাক্-ঔপনিবেশিক পর্যায়ে বাঙালির সাহিত্য, লোকাচার, সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক বাঙালি যৌনতার যে স্বরূপ প্রকাশ করে, ইউরোপীয় প্রভাবের আওতায় আসার পর তা কিছুটা বদলে যায়। সংস্কৃতির অন্যান্য অংশের মতো যৌনতাও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে এক মিশ্র চেহারা নেয় এবং উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে প্রকট হতে থাকে। আবার বিশ শতকে এসে সেই সন্দর্ভও বদলে যেতে শুরু করে।
পঞ্চাশ-ষাটের দশক থেকেই বাঙালির যৌনবোধ আরও দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছিল। নব্বই দশকের একেবারে গোড়ায় মুক্ত অর্থনীতির ধাক্কায় একদিকে যেমন ভুবনায়িত যৌনতার সংজ্ঞার্কেনিজেদের জীবনে গ্রহণ-বর্জনের মধ্যে দিয়ে আপন করল বাঙালি, তেমনই লিঙ্গরাজনীতির প্রশ্নগুলোও বাঙালিকে নতুন করে ভাবতে শেখাল।
দুর্লভ পত্রিকা, বই, ছবি ও একগুচ্ছ নতুন নিবন্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির সেই পরিবর্তমান যৌনচেতনার এক সংক্ষিপ্ত রূপরেখা আঁকা হয়েছে এই সংকলনে।
বাংলায় অষ্টাদশ শতকে বর্গিহাঙ্গামা এক মর্মান্তিক ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলার গ্রামে গঞ্জে বর্গিহাঙ্গামা নিয়ে ছড়িয়ে আছে কত গল্প, ভয়াবহ কাহিনি, কিংবদন্তি। কোথাও প্রতিবাদ প্রতিরোধের কাহিনি। বীরভূমের সুপুরের এমনি এক বর্গি বিদ্রোহী ছিলেন বীর সন্ন্যাসী আনন্দচাঁদ গোস্বামী। কিছুটা ইতিহাস। বাকিটা কল্পনার রঙে আঁকা এই উপন্যাস। বর্গিহাঙ্গামার প্রেক্ষাপটে আদ্যান্ত বিয়োগান্তক প্রেমের কাহিনি। মানব প্রেম থেকে দিব্যপ্রেমের উত্তরণের কাহিনি বর্গি বিদ্রোহী।
Bidwan Bonam Bidushi : Pritam Basu
Publisher : Pritam Basu
Pages : 448
বিদ্বান বনাম বিদুষী : প্রীতম বসু
BINNDING – PAPERBACK
সম্রাট নেপোলিয়ার বাহিনীর প্রাত্তন যোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেরার, জীবনের সায়াহ্নে সান্ধ্য আসরে বসে শোনান তাঁর বীরত্বগাথা। আত্মগৌরবে পূর্ণ এসব কাহিনিতে ফুটে ওঠে একসময়ের উত্তপ্ত রক্তের উদ্দীপনা এবং তাঁর রমণীমোহন ব্যক্তিত্বে আকৃষ্ট অসংখ্য তৃষিত হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা। এই মোহনীয়তা ও বীরত্বে তিনি সম্পন্ন করেছিলেন বহু দুঃসাধ্য কর্ম। সম্রাট নেপোলিয় স্বয়ং তাঁর কর্মগুণে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে ওয়াটারলু অভিযান এবং সেন্ট হেলেনা থেকে উদ্ধারের মতো বিপজ্জনক অভিযানে প্রেরণ করেন।
স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের সৃষ্ট এই চরিত্র সম্পর্কে ডয়েল-বিশেষজ্ঞ আওয়েন এডওয়ার্ডস বলেছিলেন, “এত সমৃদ্ধ ইতিহাসভিত্তিক ছোটোগল্প আর কখনও লেখা হয়নি।”
দক্ষ অথচ সরলমনা এই দেশপ্রেমিককে ঘিরে রচিত গল্প ও নাটক প্রথমবার একত্রিত হয়েছে, যেখানে রয়েছে প্রয়োজনীয় টীকা, দুষ্প্রাপ্য অলংকরণ এবং অসংখ্য ছবি।
হারিয়ে যাওয়া আশি-নব্বই দশক, হারিয়ে যাওয়া যৌথ যাপন, হারিয়ে যাওয়া নির্মল শৈশব ফিরে পাওয়ার জন্য যে সূচিমুখ বেদনা ত্রিশোর্ধ্ব বাঙালির বুকে বসত করে তার তুলনা নেই।
অন্তরীপ সময়ের কাঁটাকে ঘুরিয়ে দিতে চেষ্টা করেছে তীব্র আবেগে। স্কুলব্যাগে লুকিয়ে আনা ছোটো ছোটো কমিক্সের বইগুলো, পড়ার বইয়ের ফাঁকে লুকিয়ে রাখা হিরে মানিকগুলো, ম্যাগাজিনের দোকানে হৃদয় উদ্বেল করে সাজিয়ে রাখা প্রাণ সাহেবের চাচা চৌধুরীর কমিক্সগুলো আবার এনেছে অন্তরীপ কমিক্স।
এই অমনিবাস এডিশন-এ ধরা রইল সকলের প্রিয় সেই প্রথমযুগের প্রাণ অঙ্কিত শিল্পকর্মগুলি।
অন্তরীপ কমিক্স ও প্রাণ-এর যৌথ উদ্যোগে বাংলার পাঠকের সামনে হাজির হয়েছে এক সময়যান। অতীতের নির্মল যাপনে ফিরে যাওয়ার এক জাদুকাঠি। আজকে যাঁরা সেইসব দিন, সেইসব যাপন, সেইসব কমিক্সের অভাববোধ করেন তাঁরা হাতে তুলে নিন এই জাদুকাঠি। চড়ে বসুন এই সময়যানে। সঙ্গে নিন আজকে যাঁরা শৈশবে— তাদেরও। চাচা চৌধুরীর কম্পিউটারের থেকেও প্রখর মস্তিষ্কের কিস্সাকাহিনি প্রবাহিত হোক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
মহাকাব্যিক এই কাহিনি১৬৮৯ সাল থেকে ১৮৫৭-‘র মহাবিদ্রোহ ছুঁয়ে ছুটে চলে ১৯১৮-য় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দিকে। সুদূর আফগানিস্তানের এক দূর্গ ঘিরে গড়ে ওঠা ঘটনার ঘনঘটায় জড়িয়ে পড়েন ব্রিটিশের হাতে বন্দি এক জার্মান সেনাপতি, সমগ্র মধ্য এশিয়ার জার্মান যুদ্ধ পরিকল্পনা যাঁর মাথার ভিতর, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কূটনীতিবিদ, আর… এক ভারতীয় বিপ্লবী, যার নাম ‘রাও’।
শতাব্দী প্রাচীন দূর্গের সাথে জড়িয়ে রয়েছে যে গুপ্তধনের কথা, সে কি বাস্তব? নাকি নিতান্তই কল্পনা? কার কাছেই বা আছে সেই গুপ্তধন উদ্ধারের চাবিকাঠি? রাও কি উদ্ধার করতে পারবে ব্রিটিশ সরকারের জাল থেকে সেই বন্দি সেনাপতি কে?
কাহিনি ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে কখনও ছুটেছে আফগানিস্তানের দিকে, আবার কখনও সেই তুরস্কে। প্রশ্ন একটাই, আগুন পাখির ছোবল সামলে রাও কি পারবে তার লক্ষ্যে সফল হতে?
এই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসছে ঐতিহাসিক থ্রিলার— ডসিয়ার: রাও
আগুন পাখির ছোবল
রহস্য-রোমাঞ্চের প্রতি, ভয়ের প্রতি আকর্ষণের বীজ মানুষের রক্তে গভীরে প্রোথিত। আমরা ভয় পেতে ভালোবাসি, শিহরিত হতে চাই। উত্তেজনার পারদ যত চড়তে থাকে, অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলে তৃপ্তি। এই বই তাই ভয় পাওয়ায়। মনের গোপন অন্ধকার কোণে নিঃশব্দে ঘুমিয়ে থাকা অচেনা ‘আমি’-কে টেনে বাইরে নিয়ে আসে। দাঁড় করিয়ে দেয় মুখোমুখি। আমরা রোমাঞ্চিত হই, আতঙ্কিত হই, চমকে উঠি। ‘এবং রক্তচাঁদ’ বইটিতে সংকলিত হয়েছে এমনই দশটি কাহিনি। কোনওটি অলৌকিক, কোনওটি নিখাদ রহস্য। আবার কোনওটি মনের গহন গোপন অন্ধকারের গল্প শোনায়। পাঠকের হাত ধরে নিয়ে যায় শিহরনের দুনিয়ায়।
এই বইয়ে লেখক এমন কিছু চরিত্র আর ঘটনাবলিকে আমাদের সামনে উপস্থাপিত করেছেন, যারা স্পটলাইটে থাকে না, অথচ যাদের চলনের উপরেই নির্ভর করে দৃশ্যমান অনেক বড়ো-বড়ো ঘটনা। তা হতে পারে সন্ত্রাসবাদী হামলা ঠেকানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা, হতে পারে এক নিখুঁত হত্যাকাণ্ডের ওপর থেকে পর্দা সরানো, বা হতেও পারে এক সিরিয়াল কিলারকে ধরার জন্য চালানো দুঃসাহসিক অভিযান।…
এইসব ভয়ংকর অপারেশন ও মিশনের নেপথ্যে থাকে কিছু সূক্ষ্ম, অনুচ্চ, অথচ দৃঢ় ও ক্রূর ঘটনাক্রম।…
গল্পগুলোর সঙ্গে এতে স্থান পেয়েছে দুটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক প্রবন্ধ। তাদের বিষয়বস্তু ঐতিহাসিক হলেও পড়লেই বুঝবেন, তারা কতটা সমকালীন। নিপীড়িতের হাহাকার আর উৎপীড়কের হুহুঙ্কারের পটভূমিকে এই লেখাগুলো বুঝিয়ে দেয়, “দেয়ার ইজ নাথিং নিউ আন্ডার দ্য সান” কথাটা কতখানি সত্যি!…
ফেলে আসা সময়ের কলকাতা নিয়ে নতুন করে আবার একটা বই, মানেই সেখানে নতুন তথ্য এসেছে, এমন নয়। বরং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে বিশ্লেষণ, বর্তমান সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা এই বই। চটজলদি যোগাড় করে পরিবেশন করা তথ্য নয়, পুরোনো সময়ে লেখার নতুন করে টিপ্পনি করাও নয়, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অতীতকে ফিরে দেখা, অল্প আলোচিত কিছু টুকরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা এটি। ইতিহাস যে শুধু ফিসফিস করে কথা বলে না, বর্তমান সময়ের নিকটতম প্রতিচ্ছবি হয়ে বিরাজ করে, সেকথা প্রমাণের চেষ্টাও রয়েছে অবশ্য। কলমের গুণমান কিংবা মসৃণ পাঠের আগাম নিশ্চয়তা না থাকলেও, পাঠকের কৌতূহল বাড়ানোর গ্যারান্টি থাকছেই
Author
Sukumar Samajpati
Binding
Hard Cover
No. of Pages.
424
Publisher
Ekalavya
Year of Publication
2025
কুমারী রানির ডাক্তার
মৈত্রী রায় মৌলিক
ষোড়শ শতকের ইংল্যান্ড। বিজ্ঞান শব্দটি তখনও অজানা। ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক ভূগোলের সঙ্গে তখনও যুক্ত হয়নি স্কটল্যান্ড আর আয়ারল্যান্ড। এই সময় ইংল্যান্ডের রাজমুকুট উঠল পঁচিশবর্ষীয়া এক প্রোটেস্ট্যান্ট নারীর মাথায় যাঁর নাম এলিজাবেথ টুডর।
এলিজাবেথ টুডরের চুয়াল্লিশ বছরের রাজত্বে ইংল্যান্ড পৌঁছে যায় স্বর্ণযুগের দোরগোড়ায়। গোটা ইউরোপে তখন বিজ্ঞান-চেতনার প্রদোষকাল। দর্শন থেকে বিজ্ঞানকে ছেঁকে বের করতে হবে, ব্রহ্মাণ্ড অসীম, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে ইত্যাদি কথা প্রচার করতে চাইছেন ব্রুনো, গ্যালেলিও, ব্রাহের মতো পণ্ডিতেরা। অপরদিকে রোমান চার্চ এইসব নতুন চিন্তাধারাকে প্রশ্রয় দিতে নারাজ, তারা পুরনো ধারণা আঁকড়ে রাখতে চায়।
এই উত্তাল আবহাওয়ায় ইংল্যান্ডে, বিজ্ঞান-চেতনার সূচনা হয় এক প্রথিতযশা ডাক্তারের পরীক্ষালব্ধ গবেষণার মাধ্যমে যাঁর নাম উইলিয়াম গিলবার্ট। জীবনের শেষ তিনটি বছর রানি এলিজাবেথের রাজচিকিৎসক ছিলেন ড. গিলবার্ট। চুম্বক এবং ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণার প্রথম ধাপ তৈরি করেছিলেন ড. গিলবার্ট। ইউরোপে জ্ঞানচেতনার উন্মেষ যার উৎসে আছে ত্রিধারা— গিলবার্ট, ব্রুনো আর গ্যালেলিও। কেমনভাবে মিশে ছিল এই তিন ধারা? আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনাকাল স্যর আইজ্যাক নিউটনের সময় শুরু হলেও জ্ঞানচর্চার উৎসমুখ আরও একশো বছর আগেকার। ষোড়শ শতকের জ্ঞানচর্চার তিন প্রাণপুরুষ গিলবার্ট, ব্রুনো এবং গ্যালেলিওর মধ্যে যিনি সর্বাপেক্ষা কম পরিচিত সেই উইলিয়াম গিলবার্টকে নিয়ে উপন্যাস ‘কুমারী রানির ডাক্তার’।
লিঙ্গসন্ত্রাস’ গ্রন্থটির স্বকীয়তা এখানেই। নিছক সমাজের দৃশ্যগ্রাহ্য বৈষম্য ও হিংস্রতা বা ধর্মকে গালাগালি নয়; সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে সূত্রনির্দেশ করে নারী ও শিশুর প্রতি হিংসার বিবিধ সংজ্ঞা, সারাবিশ্বে অদ্যাবধি নথিভুক্ত নারীনিগ্রহগুলির শ্রেণিবিভাগ ও বর্ণনা, সামাজিক ও বাণিজ্যিক অনুমোদন পেয়ে যাওয়া কিছু কদাচারকে লিঙ্গহিংসা হিসাবে শনাক্তকরণ এবং তৎসহ লেখিকার ক্ষুরধার বিশেষণ এই বইটিকে শুধু মনুষ্যত্ববাদের স্তম্ভ নয়, অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষের একটি শিখরেও পরিণত করেছে। সুদীর্ঘ ১৪ বছর লিঙ্গবিজ্ঞান নিয়ে নিরলস তপস্যা যে গূঢ়তর সত্য উদ্ঘাটন করেছে, তার অন্যতম উপজাত ফল হল, ‘লিঙ্গসন্ত্রাস’।
অনেক সময় প্রেমের ভেতর লুকিয়ে থাকে লোভ, প্রতিহিংসা আর বঞ্চনা। শরীরের লোভে মানুষ হারিয়ে ফেলে তার বিচারক্ষমতা। যখন সে বুঝতে পারে, তখন অনেক দেরি হয়ে যায় সেই সম্পর্ক ভেঙে ফেলতে। প্রথম উপন্যাসিকাটি সেই আধারে রচিত।…
দ্বিতীয় উপন্যাসিকা হল, অলৌকিকের জাল রচনা করে মানুষকে দূর্বল করে তোলা।… সে হয়ে যায় অদৃশ্য শক্তির দ্বারা চালিত এক কাঠের পুতুল। এই ঘটনার মধ্যে থেকে সে কি কালোজাল ছিন্ন করে বেরিয়ে আসতে পারবে? যে ঘটনার পরতে পরতে রয়েছে অলৌকিকতা, ধোঁয়াশাময় এক পরিবেশ। যা আপনাকে সব সময় সন্দেহ আর শিহরনে ঘিরে রাখবে।
শংকর চ্যাটার্জীর লেখা দুটি থ্রিলার একত্রে— মায়াকুহক।
ইজরায়েলের বহুচর্চিত ‘মোসাদ’ ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি হিসেবে পৃথিবীর অনেক দেশের কাছেই ত্রাসের কারণ। বিগত কয়েক দশক ধরে এই সংগঠন গুপ্তচরবৃত্তির দুনিয়ায় সেরার সেরা। পৃথিবীর একাধিক দেশে সংগঠিত তাদের সিক্রেট মিশনগুলোর জুড়ি মেলা ভার!
বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত এই সংস্থা সম্পর্কে সাধারণের কাছে খুব কম তথ্যই পৌঁছয়। পাবলিক ডোমেনে এই সংক্রান্ত তথ্যও সীমিত। মোসাদের উৎপত্তি, তাদের অকথিত রোমাঞ্চকর অভিযানের খুঁটিনাটি, ইহুদি বিদ্বেষের কলঙ্কিত ইতিহাস এবং বর্তমান জিওপলিটিক্সের একাধিক গোপন কাহিনী নিয়ে পাঠকের দরবারে এবার হাজির—মোসাদ: যা আর্কাইভে নেই।
শিশু যখন ছোটো। তখন তার ভাষা নেই। মা-বাবাই পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখেন। তার কথা বোঝেন ও বলেন। শিশু ওঁয়া বললে, মা বলেন, খিদে পেয়েছে সোনা?
তেমনই নিত্যকার চলার পথে, যা লক্ষ করি, যা শুনি, সেগুলিই তুলে ধরা। সাধারণ মানুষের সাধারণ কথা, ছোটো ছোটো সুখ, দু:খ, হাসি, কান্না যাদের বলার মধ্যে গৌরব নেই, গ্লানি নেই, চাকচিক্য নেই। এ সেই পথের গল্প, পথে পড়ে থাকাদের গল্প। দ্বিতীয়বার ফিরে তাকালে, যাদের থেকে মহাকাব্যের সূচনা হতে পারত!
পাখির মতো হালকা মানুষ। ছোট্ট। বাবার কোলে চেপে বিকেলবেলা নৈহাটি ইস্টিশনের ওভারব্রিজ। পায়ের নীচে রেলগাড়ি। ভোঁ দেয় ব্রিজ কাঁপিয়ে।
“রেলগাড়ি কী বলছে বাবা?”
“আমাদের ডাক দিচ্ছে তো। বলছে, দূরদেশে চললাম। কে যাবি আয়…’”
“আমি যাবো।”
“যাবি বইকি। আর একটু বড়ো হ…”
বাবার কোলে পাঁচ বছুরের বিস্ময়ভরা চোখ চেয়ে দেখে সামনে দিগন্ত পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে সুদীর্ঘ রেলপথ। তারই পাশে পাশে এগিয়ে চলে পিচবাঁধানো নগরপথ। কোথায় যায় তারা? কে জানে? জানে রেলগাড়ি, জানে তার পেটে বোঝাই সৌভাগ্যবানেরা। জানে ওই পিচবাঁধানো সড়কপথে পায়ে পায়ে এগিয়ে চলা মুসাফিরের দল।
পাঁচ বছুরে বালক, তার চোখে পথ সেই যে মায়া অঞ্জন মাখিয়ে দিল, আজও তার সে মোহ ঘুচল না। কদিন স্থির হয়ে বসলেই ফের ডাক আসে। পথের ডাক শুনে ফের এগিয়ে যাই… পায়ে পায়ে… কুড়িয়ে নিই যা মেলে পথের পাশে পাশে।
এ বই সেই কুড়িয়ে আনা কিছু স্মৃতিকণা, দেশ ও মানুষের মাঝে ঘুরে বেড়াবার স্মৃতির ধুলোমুঠি, সোনামুঠি।
প্রত্নতত্ত্ববিদ ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বাসন্তী’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত পরকীয়াবাদ বিষয়ক লেখাগুলি আমাদের বিস্মিত করে।
ভারতের প্রাচীন পরকীয়াবাদ থেকে আধুনিক সাহিত্যে পরকীয়ার প্রকাশ নিয়ে যেমন তিনি আলোচনা করেছেন, তেমনি বেশ্যা ও পরকীয়া, আধুনিক সতীত্ব নিয়েও মনোজ্ঞ আলোচনা করেছেন। এসেছে মৌর্য যুগের পরকীয়ার কথাও। বাৎসায়নের কামসূত্র এবং বৈষ্ণব পদাবলীর পরকীয়াবাদ বিষয়েও আলোকপাত করেছেন।
বিলুপ্তি উদ্ধারও এক ধরনের সৃষ্টি। বইটি সুচারু গ্রন্থনা করেছেন সৌমক পোদ্দার। অধ্যাপক কুন্তল মিত্রের মূল্যবান ভূমিকা বইটিকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।
কুসুমতী গ্রাম। এখানে একজন একজনের প্রেমে পড়ে। সেই একজন অন্যজনের প্রেমে পড়ে। সেই অন্যজন আবার একজনের হতে চায়।
এখানে কুসুমতী গ্রাম। এখানে একজন একজনের প্রেমে পড়ে। সেই একজন অন্যজনের প্রেমে পড়ে। সেই অন্যজন আবার একজনের হতে চায়।
এখানে একজন রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক পদের প্রেমে পড়ে হিংস্র হয়ে ওঠে। এখানে একজন রোজ রোজ বউয়ের প্রেমে পড়ে খুনী হয়ে ওঠে। এখানে একজন মনসা পালায় মনসা সাজা পালা-অভিনেতা, পালায় অভিনয়ের প্রেমে পড়ে মনসা হয়ে ওঠে। আর আমি, আমার বন্ধু দেব (নাম তো শুনা হি হোগা) এই গ্রামে গিয়ে এই গ্রামের মানুষগুলোর প্রেমের চ্যাপ্টারে কখন যে চরিত্র হয়ে উঠি বুঝিও না। কারণ আমরাও প্রেমে পড়ি, প্রেমের অভিকর্ষজ টানেই। আর তখনই রচনা করে ফেলি প্রেমের পদাবলী, এই সময়ের প্রেমের পদাবলী।, পালায় অভিনয়ের প্রেমে পড়ে মনসা হয়ে ওঠে। আর আমি, আমার বন্ধু দেব (নাম তো শুনা হি হোগা) এই গ্রামে গিয়ে এই গ্রামের মানুষগুলোর প্রেমের চ্যাপ্টারে কখন যে চরিত্র হয়ে উঠি বুঝিও না। কারণ আমরাও প্রেমে পড়ি, প্রেমের অভিকর্ষজ টানেই। আর তখনই রচনা করে ফেলি প্রেমের পদাবলী, এই সময়ের প্রেমের পদাবলী।
বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য তাজমহলকে ঘিরে রয়েছে অজস্র মিথ ও রহস্য। দু’দশক ধরে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিকের মেহনতের ফসল তাজমহল, যা কুতুব মিনারের থেকেও বেশি উঁচু। তাজমহলের নির্মাণসামগ্রী এসেছিল সারা পৃথিবী থেকে।… সত্যিই কি তাজমহল নির্মাণের পর শ্রমিকদের হাতা কেটে ফেলা হয়েছিল?… তাজমহল নির্মাণের চেয়ে দ্বিগুণ খরচ হয়েছিল ময়ূর সিংহাসন তৈরিতে!… কোথায় আছে মমতাজের আসল সমাধি?… তাজমহলের জমির আসল মালিক কারা?… এই বিরাট স্থাপত্য এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিভিন্ন রহস্যের অনুসন্ধান করেছেন সাংবাদিক-গবেষক অনিরুদ্ধ সরকার।
রহস্যে ঘেরা হিমালয় এবং রহস্যে ঘেরা তিব্বতের পর এই সিরিজের তৃতীয় বই— রহস্যে ঘেরা তাজ।
তান্ত্রিকের চিকিৎসা পদ্ধতি
সোমব্রত সরকার
মূল্য ৩৫০/-
শরীর একটা যন্ত্রম্। তন্ত্রের মূল যন্ত্রম্ শরীর। এই বইতে ধরা রয়েছে শরীর যন্ত্রম্ ঠিকভাবে চালিত করবার নানান গুপ্ত তরিকা। যা পাঠককে দেহ সম্পর্কে, খাদ্য সম্পর্কে, সাধনা সম্পর্কে, ওষুধ সম্পর্কে, রোগ সম্পর্কে, চিকিৎসা সম্পর্কে, ভোগ সম্পর্কে, যোগ সম্পর্কে, আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে একটা অচেনা নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

