Author
Sukumar Samajpati
Binding
Hard Cover
No. of Pages.
424
Publisher
Ekalavya
Year of Publication
2025
KOLKATAR MADHYOPAN - EKAL O SEKAL
Uttradhunik chintadhara - উত্তরাধুনিক চিন্তাধারা
Abarto- এবারতো
Sorosh Mahajanapad ( Dipan Bhattacharya ) / ষোড়শ মহাজনপদ
Gan Uzaner Jatri (Kankan Bhattacharya) - গান উজানের যাত্রী
KOLKATAR MADHYOPAN - EKAL O SEKAL
Uttradhunik chintadhara - উত্তরাধুনিক চিন্তাধারা
Abarto- এবারতো
Sorosh Mahajanapad ( Dipan Bhattacharya ) / ষোড়শ মহাজনপদ
Gan Uzaner Jatri (Kankan Bhattacharya) - গান উজানের যাত্রী
Author
Sukumar Samajpati
Binding
Hard Cover
No. of Pages.
424
Publisher
Ekalavya
Year of Publication
2025
‘গান উজানের যাত্রী’, লেখক: কঙ্কণ ভট্টাচার্য
এই বইয়ে তিন ধরনের লেখা আছে। শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা, সময় ও সামাজিক মানচিত্রে যৌবন এবং শেষ পর্যায়ে সারা জীবনের গানযাপন। এই পর্যায়ে আছে কয়েকজন পথপ্রদর্শক শিক্ষকের কথা ও বেশ কিছু নির্বাচিত গান। এই বই আত্মজীবনী নয়, একজন সৃষ্টিশীল সঙ্গীত কর্মীর গানযাপনের কাহিনী, যেখানে ধরা দিয়েছে পরিবর্তনশীল সময় ও মানুষ।
যেহেতু স্রোতের বিপরীতে সৃষ্ট গানবাজনা মূলস্রোতের মিউজিক মিডিয়াতে তেমন প্রচারিত হয়না, এই বই গানগুলিকে ধরে রাখারও একটা প্রয়াস। সেই কারণে গান হয়ত একটু বেশিই আছে। পাঠকের কাছে গানগুলি যাতে কেবলমাত্র বাণীতেই আবদ্ধ না থাকে তাই ইউটিউবে প্রকাশিত গানগুলির ক্ষেত্রে গানের #কিউ_আর_কোড (#QR_CODE) বাণীর পাশে দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী পাঠক শ্রোতা স্মার্ট ফোনে ওই কোড স্ক্যান করলে গানটি বেজে উঠবে। এতে আশাকরি একটু সুবিধাই হবে।
“গানই আমার প্রাণ, গানই আমার ভগবান,
গান গেয়ে গেয়ে যায় চলি এ প্রাণ,
যেখানে কেউ নাই সেথা দিও স্থান।
ভবার পরম আত্মা, গানই সাধন সত্ত্বা,
গানেই বাধ্য করে চঞ্চল প্রাণ।
জানি না সাধনা, জানি না উপাসনা,
ভবার বাসনা শুধু গানই প্রধান।”
গানের ছন্দে ভবাপাগলা এইভাবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ছিলেন এমনই প্রাণখোলা স্বভাবের মানুষ, তাঁর সংস্পর্শে যে যখন এসেছেন তাঁকেই তিনি আপন করে নিয়েছিলেন। একজন ধার্মিক ব্যক্তি হয়েও তাঁর মধ্যে ছিল না কোনো আচার-বিচার, ভিন্ন ভেদ, কু-সংস্কারচ্ছন্নতা। শত্রু- মিত্র ভাবনাও তাঁর মধ্যে কখনও দেখা যেত না। জাতিভেদ প্রথা তিনি মানতেন না। মানতেন না খাদ্য নিয়ে আচার-বিচার। তিনি বলতেন তুমি সব খাবে, শুধু নিজের মাথা খাবে না। তিনি মনে করতেন মনুষ্যত্ব হারানো ও চরিত্রহীনতাই নিজের মাথা খাওয়া। মনে করতেন দেশকাল ভেদে সহজলভ্য, সহজপাচ্য খাদ্য খেলে ধর্ম নষ্ট হয় না। ধর্ম এত ঠুনকো জিনিস নয় যে হাত থেকে পড়ে ভেঙে যাবে। শাশ্বত সত্যই ধর্ম।
শ্রদ্ধেয় শ্রীসত্যানন্দ গিরি ভবাপ্যদলা সম্পর্কে লিখেছিলেন, ভবাপাগলার মধ্যে শান্ত, দাস্য, বাৎসল্য, সখ্য, মধুরাদি পঞ্চভাবের সমন্বয় ঘটেছিল। প্রেম, ভক্তি, কর্ম, জ্ঞান সমস্ত যোগমার্গের সমন্বয় ভবা। ভবাকে ভাবা, ভবাকে বোঝা বা বিশ্লেষণ করা সাধারণ মানুষের পক্ষ্যে দুঃসাধ্য; হয়তো বা অসাধ্যও।
(ভবাপাগলা, লেখক সত্যানন্দ গিরি, পৃষ্ঠা ৬)
তবুও সকলের জ্ঞাতার্থে ভবাপাগলাকে জানতে ও সকলকে জানাতে বদ্ধপরিকর হয়েছি এই দুঃসাধ্য কাজটিকে সাধ্যমতো লিখতে।