Author
Sukumar Samajpati
Binding
Hard Cover
No. of Pages.
424
Publisher
Ekalavya
Year of Publication
2025
Format
Hard Cover
Language
Bengali
Author
Arthur C Clarke
Author : DIPANKAR PARUI
Binding : Hardcover
Language : Bengali
Publisher : KHORI PRAKASHANI
বৌদ্ধ ধর্মের ইতিবৃত্ত
প্রাণকুমারের স্মৃতিচারণ
প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদনা : অদিতি ভট্টাচার্য
তন্ত্রসাধক শ্রীপ্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯৫-১৯৭১) বাংলা সাহিত্যে একটি সুপরিচিত নাম। তাঁর ‘তন্ত্রাভিলাষীর সাধুসঙ্গ’, ‘হিমালয়ের পারে কৈলাশ ও মানস সরোবর’ ইত্যাদি গ্রন্থ বাঙালি পাঠকের কাছে সুবিদিত। তন্ত্রের গূঢ়রহস্য ও আধ্যাত্মিক সত্যের অনুসন্ধানে তিনি ভারত ও তিব্বতের বহু অঞ্চল ঘুরেছেন- তাঁর বিচিত্র অভিজ্ঞতার ফসল তাঁর তন্ত্রবিষয়ক গ্রন্থগুলি। কিন্তু এই পরিচয় ছাড়াও তাঁর আর একটি পরিচয় রয়েছে- তিনি ছিলেন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী। মূলত অবনীন্দ্রনাথের বাংলা ঘরানার চিত্রশিল্পী হলেও তাঁর আঁকা ছবিগুলি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও অনন্যতায় সমুজ্জ্বল। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকী ইউরোপেও তাঁর আঁকা ছবি সমাদৃত হয়েছে। শেষজীবনে ১৭টি বছর তিনি পন্ডিচেরির শ্রীঅরবিন্দ আশ্রমে ছিলেন- তাঁর আঁকা কিছু ছবি শ্রীমায়ের বিশেষ প্রশংসা লাভকরেছিল। তাঁর আঁকা চিত্রগুলিতে আধ্যাত্মিক বাজনা বিশেষভাবে পরিস্ফুট হয়েছে। বর্তমান প্রন্থটিতে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথম দিকের জীবন কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। আত্মজীবনীমূলক এই রচনাটিতে সমকালীন সমাজের একটি অপরূপ রূপরেখা চিত্রিত হয়েছে, বিশেষত যে সুনিপুণ দক্ষতায় তিনি বাক্তি চরিত্রগুলি চিত্রিত করেছেন তা তাঁরা শিল্পী মনের পরিচয় বহন করাছে। গ্রন্থটিতে প্রকাশিত তাঁর জীবনের পরবর্তী প্রথম ৩২/৩৩ বছরের বিচিত্র কাহিনি পাঠককে কৌতূহলী করে তোলে তাঁর জীবনের পরবর্তী পর্যয়কে। জানতে- এটিই এই গ্রন্থটির বিশেষত্ব।
Author :SOMABRATA SARKAR
Binding : Hardcover
Language : Bengali
Publisher : KHORI PRAKASHANI
পাঁচশো বছরের বাংলার লোকসাধনা
খোঁজা থামিয়ে দিলেই পাবার আশা নিঃশেষ হয়ে যায়। নর্মদার সামনে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য হয় রুদ্রদেব আর অসিত। সমুদ্র সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই। এখানে গুরু শিষ্যের বিষয় খাটবে না, দুজনেই নবিশ। তবু অসিতকে এগিয়ে যেতেই হবে। অঙ্গদকে উদ্ধার না করে সে ফিরে যাবে না। রুদ্রদেবও শিষ্যকে ত্যাগ করতে পারে না। শিক্ষা শেষ হবার আগে কোন গুরুই শিষ্যকে ত্যাগ করে না।
ওদিকে রাহু অঙ্গদকে নিয়ে জাহাজে চেপে বসেছে। পশ্চিমে নিজের পরিচিত বন্দরের অভাব নেই। সেগুলোর একটাতে থিতু হয়ে বসেই অঙ্গদকে নিয়ে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে চলেছে সে। কিন্তু বিধির চিন্তা হয়তো অন্যরকম। রাহুর মতো লোকের তো আর পৃথিবীতে অভাব নেই। চলার পথে রাহু বুঝতে পারে, অঙ্গদের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে লোকে। কেউ কেউ তো অঙ্গদকে পাবার জন্য তার প্রাণ নিতেও পেছপা হবে না।
রোমান সাম্রাজ্যের দখলে আছে পুরো গ্রীস আর ভূমধ্যসাগরের চারিদিকের অঞ্চল। রোমান সম্রাট ট্রাজানের শাসনে সাম্রাজ্যের কোথাও কোন সমস্যা মাথাচাড়া দিতে পারছে না। তবে পরাধীন গ্রীসের বাতাসে মাঝে মাঝে শোনা যায় স্বাধীনতার কানাকানি। আলেকজান্ডারের উত্তরসূরিরা নিজেদের এই অবস্থা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। নিজেদের সিংহসম সাহস মাঝে মাঝে জেগে উঠতে চায়। বিদ্রোহের লক্ষণ দেখা দেয় স্পার্টার আকাশে বাতাসে।
ইভানের স্বাধীনতা নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই। গ্রীসের অভিজাত সেনাদলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে অভিজাত সুবিধা নিয়ে জীবন কাটাতে পারলেই হলো। সেই লক্ষ্যেই স্পার্টার সেরা যোদ্ধা হবার পথে এগিয়ে চলেছে সে। কিন্তু হঠাৎ করে বদলে যায় তার জীবন। প্রেম জোয়ার বইয়ে দেয় তার জীবন নদীতে। আর, প্রেম কখনোই কাউকে অবিকৃত রাখে না।
স্পার্টার দুর্গম পাহাড়ে জেগে ওঠার অপেক্ষায় আছে এক অমোঘ শক্তি। টিয়ার অব এপোলোর অপেক্ষায় কাল কেটে যাচ্ছে তার। সে কি জেগে উঠবে গ্রীসের স্বাধীনতার ভাগ্যবিধাতা হয়ে?
আপাত সম্পর্কহীন ঘটনাগুলো শেষে মিলে গেলো একই বিন্দুতে। মহাকালের পথে শুরু হলো এক রোমাঞ্চকর মহাযাত্রা।
অঙ্গদকে ফিরে পাবার হিসেব মিলিয়ে নিজের ভূমির দিকে এক গতিতে ফিরে আসছে অসিত। ভেতরে ভেতরে একটা আতঙ্ক দানা বেঁধে উঠছে তার। দেশ ছেড়ে এসেছে কম দিন তো হয়নি। গ্রামের কেউই তো তার সাফল্যের ব্যাপারে আশান্বিত ছিল না। যদি, রাধার মা এরই মধ্যে রাধার হাত অন্য কারো হাতে তুলে দিয়ে থাকেন, তাহলে তো সব পেয়েও কিছুই পাওয়া হবে না অসিতের। ক্রমাগত পথ চলছে সে রুদ্রদেবকে নিয়ে, সাথে জপছে ঈশ্বরের নাম। কিন্তু, অসিতের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই, সে যেভাবে আর্যাবর্তকে রেখে গিয়েছিল, আর্যাবর্ত এখন আর সেই অবস্থায় নেই। রাজনীতি অনেক ভাবেই পাল্টে ফেলেছে নিজের গতি পথ। চেরা রাজা উথিয়ানের মৃত্যুর পর ভেরাপ্পন এখন রাজা হবার স্বপ্নে বিভোর। তার সেই পথে বাধা কেবল রানি নলিনী ও রাজপুত্র নিদাম। তবে সেসব বাধাকে সহজেই এড়িয়ে যাবার পরিকল্পনা চলছে ভেরাপ্পনের মাথায়। সিংহাসন কি আসলেই এতো সহজে হস্তগত হবে? চোলায় শান্তি ফিরে এসেছে। প্রজারা এবার চাইছে রাজা কারিকালার বামপাশের আসনে রানি লক্ষ্মী হয়ে বসুক। রানির সন্ধান করছে কারিকালা। তবে সেই সন্ধান কি আদৌ এত কণ্টক বর্জিত হবে? শকদের সম্পদের হাতছানিতে মহারাজ সাতকর্ণী অবস্থান করছেন উজ্জয়িনীতে। ওদিকে অবহেলায় পড়ে আছে তার রাজধানী প্রতিষ্ঠানা। শাসকের অনুপস্থিতিতে ধীরে ধীরে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে অরাজকতা। মহাবলের কথা মনে আছে? যে সামন্ত যুবরাজ অঙ্গদকে আগুনে ফেলেছিল। সে পিতার মৃত্যুর পর রাজা হয়েছে। তারপর বসেছে অত্যাচারের পশরা সাজিয়ে। মহাপ্রস্থান সকল হিসেব মেলানোর পথ। সে হিসেবের কাছে পৃথিবীর সকল হিসেব গৌণ, এতো কঠিন গণিত কোন গণিতের বইয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে আশার কথা একটাই। ‘মহাকাল কখনও কোনও হিসেব বাকি রাখে না’।
বাংলা থিয়েটারের পটভূমি প্রতিষ্ঠা এবং বিকাশ 2
ডঃ বৃন্দাবন কুণ্ডু
Weight
0.8 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
SOURAV GUHA
Language
BENGALI
Binding
Hardcover
Pages
232
Publisher
BLACKLETTERS
Publishing Year
2025
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
ভারতবর্ষের সভ্যতা কত কাল অব্যাহত, তাহার ইয়ত্তা হয় না। ভারতীয় সভ্যতার দীর্ঘ-জীবনের বিষয় চিন্তা করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। উন্নতির উচ্চ-চূড়ায় আরোহণ করিয়া, ভারতবর্ষ কত জাতির কতরূপ উত্থান-পতন দর্শন করিল; তাহার চক্ষের সমক্ষে কত নূতন জাতির নূতন সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ও অবসান হইল; জলবুদ্বুদের ন্যায় কত জাতি কত সাম্রাজ্য উদ্ভূত হইয়াই আবার কালসাগরে বিলীন হইল; কিন্তু ভারতবর্ষের আর্য্য-হিন্দুজাতির কখনই ক্রমভঙ্গ হয় নাই; তাহাদের ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিকত্ব চিরদিন অটুট রহিয়াছে। সেই প্রণব-ধ্বনি-আজিও আর্য্য-হিন্দুর প্রাণে প্রতিধ্বনিত।
Author
Sukumar Samajpati
Binding
Hard Cover
No. of Pages.
424
Publisher
Ekalavya
Year of Publication
2025
মহারাজ সাতকর্ণী সাতবাহন রাজ্যের সম্রাট। লোকে বলে তিনিই এই বংশের সবচেয়ে যোগ্য রাজা। রাজ্য চারিদিকে বেড়ে এখন পুরো মধ্য ভারতই তার আয়ত্তে এসে গেছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্য জায়গায়। পুব থেকে লোকজন আসছে ভারতে বাণিজ্য করতে। তিনিও সেই বাণিজ্যে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তার বন্দরগুলোতে ভিনদেশী জাহাজগুলো আসছে না। খা খা করছে তার বন্দরগুলো। এই সমস্যার সমাধান করতেই হবে। লক্ষ্মী বিদায় নিয়ে রাজা আর রাজ্য যে শ্রী হারিয়ে ফেলবে। নিজের মন্ত্রীর সাথে সেই পরিকল্পনাই করতে বসেছেন তিনি।
ঠিক সেই সময়ে যে রাজা ভারতে চুটিয়ে বাণিজ্য করছেন, তার নাম নাহাপনা। পশ্চিম শক রাজ্যের এই রাজা নিজের বাণিজ্য নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে নিশ্চিন্ত থাকার উপায় নেই। তিনি জানেন, মধ্য ভারত অধিকার করে সাতবাহন রাজ্যের সীমা এখন তার রাজ্যের উপকণ্ঠে চলে এসেছে। আর তার এই ছোট কিন্তু অতুল সমৃদ্ধ রাজ্য অবশ্যই সাতকর্ণীর শকুন নজর এড়াবে না। তাই শত্রু আঘাত করার আগেই শত্রুকে পাকে ফেলতে হবে। নিজের মন্ত্রীর সাথে তিনিও ব্যস্ত সেই উপায় নির্ধারণে।
দক্ষিণ ভারত তিন রাজ্যে বিভক্ত। চেরা, চোলা আর পাণ্ড্য। তিন রাজ্যই একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আসছে প্রাচীন কাল থেকে। তবে এখন চেরা রাজ্যের অবস্থা ভালো। তার বন্দর মুঝিরিস ব্যবসায় অনেক ভালো করছে। তারও ভয় মহারাজ সাতকর্ণীকে। চোলা রাজ্যে এসেছেন নতুন রাজা। তাকেও থাকতে হচ্ছে ভেতরের আর বাইরের শত্রুর ভয়ে। পাণ্ড্য রাজা বাণিজ্যিক চুক্তি করেছেন চেরাদের সাথে, তবে তিনিও চাচ্ছেন না অন্য কারো দয়ায় বেঁচে থাকতে।
এসব রাজ্যগত ঝামেলার ভেতরে নেই অসিত। সে এক সাধারণ কিশোর। নিজের খেলা দেখানোর বানর আর গ্রামের অন্য মানুষদের কখনো আদর আর কখনো শাসনে কেটে যাচ্ছে তার জীবন। বনের ধারে একটা কেবল কুটির, আর কিছু খেলা দেখানোর সামগ্রী, এই তার সম্বল। তারপর আচমকা একদিন নতুন এক সম্পত্তি হাতে চলে এলো তার। নতুন সম্পত্তির সাথে এলো নতুন সম্ভাবনা, আর সেই সাথে এলো নতুন বিপদও। জীবন বদলে গেলো তার।
এক অভিশপ্ত পুরুষ রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা মন্দিরে। দিনে কখনোই সে ঘর থেকে বের হয় না। নিত্য আরাধনা করে চলেছে সে, কিন্তু কিছুতেই নিজের শাপের হাত থেকে মুক্ত হতে পারছে না। তবু চেষ্টা করে চলেছে, মহাকাল কি তাকে দয়া করবে? তার শাস্তির মেয়াদ কি শেষ হবে?
বিন্দুমাত্র সম্পর্কহীন বিন্দুগুলো এক সময় এসে মিলে গেলো এক বিন্দুতে। মহাকাল দেখাতে শুরু করলো নিজের খেলা।
বাঙলা তথা অবিভক্ত ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা সাম্রাজ্য পাল সাম্রাজ্যের পত্তন গোপাল এর হাত ধরে। ধর্মপাল তা তুঙ্গে নিয়ে যান।
দেবপাল, মহীপালরা তার অন্যতম স্থপতি।
সুবিখ্যাত এই পাল সাম্রাজ্যের আরেক খ্যাতনামা সম্রাট বিগ্রহপাল(৩) ছিলেন সুবিখ্যাত গৌড়াধিপ নয়পালের ছেলে।
বিগ্রহপালের পুত্র মহীপাল (২) এর সময় থেকেই পাল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। অত্যাচারী প্রজাপীড়ক এই মহীপাল তার বৈমাত্রেয় ভাই শূরপাল ও রামপালকেও কারারুদ্ধ করে। যদিও তাঁরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এদিকে সামন্ত দিব্যোক ও তার বীর ভ্রাতুষ্পুত্র ভীমের নেতৃত্বে প্রজারা বিদ্রোহ করে। যুদ্ধে মহীপাল নিহত হন এবং পাল সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। এটিই কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে খ্যাত
এরপর দিব্যোক ও পরে ভীম সাম্রাজ্য শাসন করতে থাকেন।
অন্যদিকে রামপাল তাঁর মাতুল রাষ্ট্রকূট রাজ মথনদেব এর পরামর্শে সামন্ত চক্রের সহায়তায় সৈন্য সংগ্রহ করে ভীম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পরিশেষে হৃত পাল সাম্রাজ্যের পুনরুদ্ধার করেন।
এই সুবিশাল কাহিনিকে ভিত্তি করে খ্যাতনামা লেখিকা অনুরূপা দেবী রচনা করেন এক বিখ্যাত উপন্যাস “ত্রিবেণী”(১৩৩৫)। সেই দুষ্প্রাপ্য উপন্যাসের পুনর্মুদ্রণ ঘটাল বাঙলার মুখ প্রকাশন।
Specifications
Binding
Hardcover
ISBN
978-93-93833-06-8
Publishing Year
2022
Pages
384
Author : William Irvine
Translator : Biswendu Nanda
Binding : Hardcover
Language : Bengali
Publisher : Khori
দ্য আর্মি অব দ্য ইন্ডিয়ান মুঘলস : উইলিয়াম আর্ভিন
অনুবাদক : বিশ্বেন্দু নন্দ
Publication – Shabdo Prokashon
Author – Suchetana Sen Kumar
Weight – 0.65kg
Binding – Hard Bound
নমঃ শিবায়
Taranath Tantrik Samagra || New Edition With Two New Sorties
তারানাথ তান্ত্রিকের স্রষ্টা হলেন প্রথমে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিভূতিভূষণ পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তারানাথ তান্ত্রিকের অনেকগুলি কাহিনি লেখেন। পরে লেখেন তারানাথ তান্ত্রিক নিয়ে একটি গোটা উপন্যাস ‘অলাতচক্র’। সেই সমস্ত কাহিনি একত্র করেই এই গ্রন্থ তারানাথ তান্ত্রিক সমগ্র।
উনিশ শতকের মনীষীদের লেখায় তাঁদের বাল্যকালের শিক্ষাব্যবস্থার অপূর্ব জলছবি।
রাধাকমল মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে আজ এক বিস্মৃত নাম। অর্থনীতি ও সমাজতত্ত্বের উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা তাঁর নাম শুনে থাকলেও তাঁর কাজকর্মের সঙ্গে কতটা পরিচিত সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। একসময় তাঁর রচিত নানা বই কলকাতা থেকে প্রকাশিত হলেও সম্ভবত কলকাতা থেকে প্রকাশিত তাঁর কোনো বইই এখন ছাপা নেই। অথচ সেসব বই সমকালে বহু আলোচিত ও বহু পঠিত ছিল। সেসময় বাংলা এবং বাংলার বাইরে থেকে প্রকাশিত নামকরা সব বাংলা পত্র-পত্রিকার প্রায় নিয়মিত লেখক ছিলেন তিনি। অর্থনীতি জনতত্ত্ব সমাজতত্ত্ব নদী পরিবেশ নিয়ে তাঁর অজস্র লেখা ছড়িয়ে আছে সমসাময়িক পত্রপত্রিকার পাতায়। তার সামান্য কিছু গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে, অনেক লেখাই এখনও গ্রন্থভুক্ত হয়নি। বের হয়নি তাঁর কোন রচনাবলি। এত সব কিছুর সম্মিলিত ফলাফল তাঁর এই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাওয়া। ইংরেজিতে লেখা তাঁর বেশ কিছু বই এখনও লভ্য, তবে তা গবেষক পণ্ডিতদের জন্য লেখা। সাধারণের জন্য লেখা, তাঁর অসাধারণ প্রবন্ধগুলো এখনও পত্রপত্রিকার হলুদ পাতায় মুখ লুকিয়ে বিস্মৃতির প্রহর গুণছে।
রাধাকমল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের সন্তান। তাঁদের আদি বাসস্থান ছিল বীরভূম জেলার আহমেদপুরে। তাঁর পিতা গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন বহরমপুর শহরের প্রথিতযশা আইনজীবী। প্রখ্যাত আইনজীবী ও শিক্ষাবিদ গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুর কলেজের (বর্তমান কৃষ্ণনাথ কলেজ) আইন বিভাগে ইস্তফা দিয়ে কলকাতায় ফিরে গেলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন গোপালচন্দ্র। অর্থকৃচ্ছতার অজুহাতে সরকার বহরমপুর কলেজ পরিচালনা থেকে হাত গুটিয়ে নিতে চাইলে কাশিমবাজারের মহারানী স্বর্ণময়ী কলেজ পরিচালনার দায়ভার গ্রহণ করেন। স্বর্ণময়ী কলেজ পরিচালনার ভার যে ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে সমর্পণ করেন তার অন্যতম সদস্য ছিলেন গোপালচন্দ্র। আইন শাস্ত্রে গোপালচন্দ্রের সুগভীর পাণ্ডিত্য ছিল।