Weight
0.5 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
Brun sen
ISBN
9789392216930
Language
Bengali
Publisher
Mousumi
Publishing Year
2025
কখনও জানতে ইচ্ছে হয়নি, বিভিন্ন প্রকারের মদ কী করে তৈরি হয়? মদ নিয়ে ইতিহাসে কত যুদ্ধ ঘটেছে, আর কীভাবে মদের বাজার তৈরি হয়েছে? মদ খেলে শরীরে কী ঘটে? কেন মানুষ মাতাল হয়? কেন এক-একরকম গ্লাস? বিয়ার কেন তেতো হয়? কী করেই বা বিভিন্ন ককটেল বানায়? কেন সিডি আর মিনারেল ওয়াটারের আড়ালে মদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়? কোন রাজ্যে আর কোন দেশে মদ সন্তা? কোথায় বা নিষিদ্ধ? দেবতারা কোন মদ খেত? ইসলামে ও বৌদ্ধদের মদ্যসেবন নিষিদ্ধ কেন?
এ ছাড়াও আরও মদ নিয়ে প্রশ্ন আছে? অথচ কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন না? তাহলে সুরামন্থন করে ফেলুন, এক অবিস্মরণীয় সফরে পেয়ে যান আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর…
চিয়ার্স… (সেটাই বা কেন গ্লাসে গ্লাসে ঠোকাঠুকি করে বলা হয়?)
Weight
0.5 kg
Dimensions
21 × 18 × 2 cm
Author Name
Brun sen
ISBN
9789392216930
Language
Bengali
Publisher
Mousumi
Publishing Year
2025
2025 আনন্দ পুরষ্কার প্রাপ্ত
জীবনবৃক্ষের প্রবাহ এক আশ্চর্য ঘটনা। দীর্ঘ সময়ের যাত্রাপথে কে কার সঙ্গে কীভাবে যে যুক্ত হয়ে পড়ে, কোন ভালবাসা কীরূপে আমাদের কাছে ফিরে আসে, তা কেউ বলতে পারে না। চার ভাগে বিভক্ত এই কাহিনি পঁচিশ বছরের সময়কালকে ধারণ করে আছে। আর তার প্রবাহে আমরা দেখি হাওয়াদাদুকে। দেখি সর্বগ্রাসী ক্ষমতার লোভে অন্ধ বীরেন্দ্রকে। আবার দেখি গ্রাম্য রাজনীতির নেতা জগন্নাথকেও। এবং তারপর একটি খুন বদলে দেয় বহু মানুষের জীবনের গতিপথ ও লক্ষ্য! আর সেই সূত্র ধরেই এই কাহিনি আমাদের চিনিয়ে দেয় দরিদ্র যুবক কবিকে। দেখায়, উর্জা ও রাজুর প্রেম ও তার পরিণতি। সেই প্রবাহেই জানা যায় কাজের মানুষ লালু আর বিন্দিকে! জানা যায় ইউনিভার্সিটিতে পড়া জিনি কেন ভালবাসে কবিকে! আর দেখি আশ্চর্য এক চরিত্র, ঝিরিকুমারকে। কে এই ঝিরিকুমার? সেকি আনন্দের উৎস নাকি মৃত্যুর অন্ধকার? এরা ছাড়াও কাহিনির বাঁকে বাঁকে এসে পড়ে সেতুদা, গুরান, লীলা, মাধু, বাচ্চু, অঞ্জনা, নিধি-সহ আরও নানান চরিত্র! বহু আগের দুটি ঘটনা প্রভাব ফেলে সময়ের ওপর, নানান মানুষের ওপর। আলো-ছায়ার এইসব মানুষরা ভাবে তাদের জীবনের শূন্য পথে কবে ফুটবে ভালবাসার মল্লিকা! ‘শূন্য পথের মল্লিকা’ অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে আলোয় পৌঁছনোর উপাখ্যান। হিংসা থেকে ভালবাসায় পৌঁছনোর যাত্রা। সুখপাঠ্য এই উপন্যাস মনের অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে রাখার কথা বলে। ভালবাসার মধ্যে যে ত্রাণ আছে, তার কথা বলে।
পার্কস্ট্রিটের এক কিউরিও শপ থেকে একটি পিরামিডের প্রাচীন মডেল খুব সস্তায় কিনে বাড়িতে নিয়ে এল ইউসুফ। পিরামিড বাড়িতে আনার পর থেকেই একে একে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় ইউসুফ ও তার স্ত্রী ফারজানা। এর পেছনে মিশরের কোন গোপন ইতিহাস লুকিয়ে আছে? ঘুল তাদের জীবনে কেন এল? তানিয়া কে? সে কী আদৌ মানুষ? কিভাবে মুক্তি পাবে ইউসুফরা? জানতে হলে পড়ুন ‘ঘুল’।
উনিশ শতকের মনীষীদের লেখায় তাঁদের বাল্যকালের শিক্ষাব্যবস্থার অপূর্ব জলছবি।
একটা দলের বিচ্যুতি আর অপ্রাসঙ্গিকতা থাকা সত্ত্বেও যে সব মানুষ এখনো মেরুদণ্ড সোজা করে থাকতে পারে, রেড বুক তাদের নিয়ে লেখা। প্রথম পর্ব শহরের কথা বললে দ্বিতীয় পর্ব গ্রামীণ রাজনীতির একটা অংশকে তুলে ধরে। রেডবুক একটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উপন্যাসের বই।
Publisher
Khori – খড়ি প্রকাশনী
Binding
Hardbound
Language
Bengali
ভারতশিল্প বস্তুত একটি মহাসমুদ্রের মতো। তার আছে নানা অঙ্গ, নানা প্রকোষ্ঠ যেমন সৌন্দর্যতত্ত্ব, রীতি, শৈলী,বিবর্তন,কাল বিভাজন, অঞ্চল বিভাজন ইত্যাদি। এই বইটিতে শিল্প – ঐতিহাসিক ড.মলয়শঙ্কর ভট্টাচার্য স্বল্প পরিসরে আলোচনা করেছেন ভারতশিল্পের চর্চার উন্মেষকাল ও তার শিল্পানুসন্ধানীদের কথা, শিল্পের নানান ধারা এবং শৈলী, শিল্পকর্মে জীবনের প্রতিফলনের কথা, ভারতের বাইরে তার প্রসারের কথা এবং আরও অন্যান্য বিষয়।
গুপ্তচরবৃত্তির কথা বলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে কোনও না কোনও হলিউড বা বলিউড সিনেমার দৃশ্য। গল্পের নায়ক পাহাড়ের মাথা থেকে লাফিয়ে পড়ছে, সমস্ত সিকিউরিটি ভেঙে কোনও গুপ্তকক্ষে প্রবেশ করছে, শত্রুদেশে গিয়ে গোপনে সব জেনে চলে আসছে। আসলে কি সত্যিই গুপ্তচরবৃত্তি এতটাই গ্ল্যামারাস? যেকোনো গুপ্তচরবৃত্তি আসলেই ভীষণ গোপনে এবং সাবধানে সমাধা করা হল। সিনেমার মতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তো নয়ই। গুপ্তচরবৃত্তির সমস্ত অভিযানই বেশ কতগুলো ধরন বা স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করেই পরিকল্পনা করা হয়। ‘দেশ বিদেশের গুপ্তচর: গঠনরীতি ও পরিকল্পনা’ (তৃতীয় খণ্ড)-এ একত্র করা হল সেই সমস্ত স্ট্র্যাটেজির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ ও সে সম্পর্কিত কিছু গল্প।
বাংলা ভাষায় গুপ্তচর বৃত্তি নিয়ে লেখা সবথেকে ধারবাহিক ও বিশ্লেষণ ভিত্তিক সিরিজ ‘দেশ বিদেশের গুপ্তচর’ সিরিজে আপনাকে স্বাগত। বইয়ের পাতা উলটে পৌঁছে যান গুপ্তচরবৃত্তির অদ্ভুত দুনিয়ায়।
শহরের বিশিষ্ট গাইনোকোলোজিস্ট ডক্টর মোহনা মিত্র নিরুদ্দেশ। চূড়ান্ত পেশাদার ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ডক্টর মিত্র নিজের ফার্টলিটি সেন্টার তৈরি করছিলেন। এই হাসপাতালকে শহরের এক নম্বর ফার্টিলিটি ক্লিনিক হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তাঁর এই আকস্মিক অন্তর্ধানের তদন্ত করতে নেমে পুলিশের সিনিয়ার ইন্সপেক্টর সুশোভন রায় ও তাঁর অধস্তন অফিসার পলাশের সামনে একে একে উঠে আসতে থাকে আশ্চর্য সব তথ্য। তাঁরা জানতে পারেন, অনতিদূর অতীতে শহরে একের পর এক খুন হয়েছে চিকিৎসা জগতের সঙ্গে যুক্ত নানান ব্যক্তি। মোহনা মিত্রের অপহরণ কি সেই ধারাবাহিক হত্যা রহস্যেরই অংশ। কে বা কারা করে চলেছে এসব হত্যা? কেনই বা করছে? মোহনা মিত্র কি আদৌ বেঁচে আছেন, নাকি তাঁকেও সরিয়ে দিয়েছে হত্যাকারী? সুশোভন ও পলাশ কি খুঁজে পাবে অপরাধীদের?
Satyajit Ray (2 May 1921 – 23 April 1992) was an Indian filmmaker, widely regarded as one of the greatest filmmakers of the 20th century. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and viewing Vittorio De Sica’s Italian neorealist film Bicycle Thieves (1948) during a visit to London. Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, music composer, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents. Feluda, the sleuth, and Professor Shonku, the scientist in his science fiction stories, are popular fictional characters created by him. He was awarded an honorary degree by Oxford University.
রহস্যসন্ধানী ব্যোমকেশ বক্সীর অমর স্রষ্টা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতিহাস-আশ্রিত গল্প-উপন্যাসে কাহিনী ও ইতিহাস যুগপৎ ‘জীবন্ত’ হয়ে উঠেছে। বৌদ্ধযুগ, গৌড়বঙ্গ, চৈতন্যযুগ, প্রাক-মুঘল কিংবা মুঘল যুগ অথবা অদূর অতীতের পোর্তুগিজ-ইংরেজ অধিকৃত বাংলার সমকাল দুর্নিবার হয়ে উঠেছে কল্পনা ও বর্ণনার অশেষ গুণে, রচনা ও গল্পরসের অনিবার্য সৃষ্টিতে। তিনি বলতেন: ‘ইতিহাসের গল্প লিখেই বেশি তৃপ্তি পেয়েছি।’
সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীর সহিত আমার প্রথম পরিচয় হইয়াছিল সন তেরশ’ একত্রিশ সালে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলি শেষ করিয়া সবেমাত্র বাহির হইয়াছি। পয়সার বিশেষ টানাটানি ছিল না, পিতৃদেব ব্যাঙ্কে যে টাকা রাখিয়া গিয়াছিলেন, তাহার সুদে আমার একক জীবনের খরচা কলিকাতার মেসে থাকিয়া বেশ ভদ্রভাবেই চলিয়া যাইত। তাই স্থির করিয়াছিলাম, কৌমার্য রত অবলম্বন করিয়া সাহিত্যচর্চায় জীবন অতিবাহিত করিব। প্রথম যৌবনের উদ্দীপনায় মনে হইয়াছিল, একান্তভাবে বাগ্দেবীর আরাধনা করিয়া বঙ্গ-সাহিত্যে অচিরাৎ যুগান্তর আনিয়া ফেলিব। এই সময়টাতে বাঙালীর সন্তান অনেক ভাল স্বপ্ন দেখে, যদিও সে-স্বপ্ন ভাঙিতেও বেশি বিলম্ব হয় না।
কিন্তু ও কথা যাক। ব্যোমকেশের সহিত কি করিয়া পরিচয় হইল এখন তাহাই বলি।
যাঁহারা কলিকাতা শহরের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত, তাঁহাদের মধ্যেও অনেকে হয়তো জানেন না যে এই শহরের কেন্দ্রস্থলে এমন একটি পল্লী আছে, যাহার এক দিকে দুঃস্থ ভাটিয়া-মাড়োয়ারী সম্প্রদায়ের বাস, অন্য দিকে খোলার বস্তি এবং তৃতীয় দিকে তির্যকচক্ষু পীতবর্ণ চীনাদের উপনিবেশ।
খুলনার কলাপোতা গ্রামের ইন্দুর বিয়ে হলো কলকাতায়। দোজবরে মাতাল এক পুরুষের সঙ্গে। তিন সন্তান নিয়ে অল্পকালেই বিধবা। তারপর পূর্ব পাকিস্তান যেদিন হলো বাংলাদেশ, সেদিনই ছেনু মিত্তির লেনে প্রথম আঁচ পড়লো ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে। এই উপন্যাসে ছেনু মিত্তির লেনের ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ছুঁয়ে থাকে এক টুকরো খুলনা আর আমাদের রান্নাঘরের ইতিহাস- মন কেমনের গল্প।
Taranath Tantrik Samagra || New Edition With Two New Sorties
তারানাথ তান্ত্রিকের স্রষ্টা হলেন প্রথমে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিভূতিভূষণ পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তারানাথ তান্ত্রিকের অনেকগুলি কাহিনি লেখেন। পরে লেখেন তারানাথ তান্ত্রিক নিয়ে একটি গোটা উপন্যাস ‘অলাতচক্র’। সেই সমস্ত কাহিনি একত্র করেই এই গ্রন্থ তারানাথ তান্ত্রিক সমগ্র।
এ এমন এক কালের কথা যেখানে শাসক মাতাল হয় বিশ্ব জয়ের নেশায় । যেখানে সাধারণ মানুষ মাথা তোলে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে উঠে আসে এক নতুন ধর্ম… এ এক এমন কাল যেখানে পদে পদে বিশ্বাসঘাতকতা, ধ্বংস আর সর্বনাশ, তবু তারই মধ্যে জেগে থাকে ভালোবাসা আর একজন সাধারণ মানুষ মহানায়ক হয়ে উঠতে উঠতে পরিণত হয় এক ট্র্যাজিক নায়কে। এই উপাখ্যান সেই ধ্বংস কালের … এই উপাখ্যান সেই অসিকালের।
প্রকাশিত হবে ২ মে
উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে ভারতের বিজ্ঞানাকাশে যে ক’জন ভারতীয় নক্ষত্রের আবির্ভাব হয়েছিল, রামব্রহ্ম সান্যাল তাঁদের মধ্যে অন্যতম। দুঃখের বিষয় আজ সম্ভবত তিনি সবচেয়ে বিস্মৃত।
রামব্রহ্মের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হওয়া, কিন্তু চোখের অসুখ তাঁর পড়া শেষ করার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। অন্ধত্বের দিকে পা বাড়ানো হতাশাগ্রস্ত রামব্রহ্মের দিকে তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁরই এক প্রফেসর।
অতি সামান্য কর্মচারীরূপে রামব্রহ্মের চিড়িয়াখানাতে প্রথম চাকরী। পরে তাঁর আর এক ইংরেজ প্রফেসারের কাছে শিক্ষানবিশি করে তিনি নিজের কর্ম দক্ষতায় চিড়িয়াখানার কার্যনির্বাহক কমিটির আস্থাভাজন হন।
কমিটির সদস্যদের ইচ্ছে ছিল যে কোনও বিজ্ঞানমনস্ক নৈর মিলিয়ার ভার নিলে তারা চিড়িয়াখানাটিকে ঠিকভাবে গড়ে নিতে পারবেন। অনেক চেষ্টা করেও সেই রকম ইংরেজ বা ইংরেজি আদব কায়দা জানা মানুষ পাওয়া গেল না। তখন বাধ্য হয়েই রামব্রহ্মের ওপর চিড়িয়াখানার ভার দেওয়া হল। রামব্রহ্মাই হলেন চিড়িয়াখানার প্রথম ভারতীয় তত্ত্বাবধায়ক। অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়ে তিনি চিড়িয়াখানার এবং নিজের সুনাম বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
১৮৯২ খ্রীস্টাব্দে তাঁর লেখা বই ” A Handbook of the Management of Animals in Captivity in Lower Bengal” বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। লন্ডন জুলজিক্যাল সোসাইটি তাঁকে Corresponding Member হিসাবে সম্মান জানায়। ১৮৯৮ খ্রীস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে “রায় বাহাদুর” উপাধিতে ভূষিত করেন এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল তাঁকে অ্যাসোসিয়েট মেম্বার নির্বাচিত করেন।
একজন বাঙালীর পক্ষে সেই যুগে এত সব সম্মানের অধিকারী হওয়া এক বিরল দৃষ্টান্ত।
স্মৃতিরা আজীবনের। আর আজীবন মানুষ বেঁচে থাকে স্মৃতি জমাবে বলেই। কিন্তু কিছু মানুষেরা শুধু স্মৃতি জমাতেই পৃথিবীতে আসে না, স্মৃতির মায়ায় সরলতা গুলে মিশিয়ে দেয় মনকেমনের ঢেউ। হরিনারায়ণপুরের বছর দশেকের হিরুও তা-ই। ও গ্রামের ম্যাজিকাল মানুষগুলোকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রেলগাড়ি করে এক অচেনা, অদেখা জীবনকে সহজভাবে খুঁজতে। খুঁজে ফেলে চুমু খেলে আঠা ছাড়াই দুটো ঠোঁট আটকে থাকে অনেকক্ষণ। ছায়া এমন এক জিনিস যা জলে পড়লে কোনো ঢেউ তৈরি করে না। আর কেউ-কেউ ফিরেও আসে সাইকেল হয়ে। ফিরে আসলে আবার চলেও যায়।
হিরুর জীবনেও এইসব ম্যাজিকাল মানুষরা আসে, থাকে, থেকেই যায় আবার চলেও যায়; হিরু খালি তাদের নিয়ে তাদের অজান্তেই বানিয়ে ফেলে নিজেই একটা আস্ত স্মৃতির রেলগাড়ি, যাতে থেকে যায় কিছুটা সত্যি, আর বাকিটা সত্যি হলেও গল্প…
আমেরিকা দেশটা যেমন বিশাল, তেমনই বিস্তৃত তার অপরাধ-জগৎ। আমেরিকার ইতিহাসে কিছু কিছু অপরাধের কাহিনি ‘হল অফ ফেম’-এ স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। ‘সান ফ্রানসিসকো এমনও এগজামিনার’ সংবাদপত্র গোষ্ঠীর মালিক এই বরনডল্ফ হার্স্টের মেয়ে প্যাট্রিসিয়াকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল একদল এ দুষ্কৃতী। সেই অপহরণের ঘটনা এক বিচিত্র পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যখন প্যাট্রিসিয়া হার্স্ট নিজেই তার অপহরণকারীদের সমর্থক হয়ে ওঠে। কিংবা ধরা যেতে পারে, সিআইএ-র অফিসার অলড্রিচ ‘রিক’ অ্যামিসের কথা। কেউ ভাবতে পারেনি সিআইএ-র অফিসে বসে নিঃশব্দে রুশদের কাছে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য মোটা টাকায় বিক্রি করে চলেছে রিক অ্যামিস। অভিনেত্রী শ্যারন টেট হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা কাঁপিয়ে দিয়েছিল পুরো দেশকে। মাদকাসক্ত একদল তরুণ-তরুণী কোনও কারণ ছাড়াই কেন এ-রকম বীভৎস খুনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল, তা আজও রহস্য। তেমনই রহস্য অ্যালকাট্রাজ জেল থেকে পালানো তিন বন্দিকে ঘিরে। আমেরিকার সবচেয়ে সুরক্ষিত জেল থেকে পালিয়ে তারা কি শেষ পর্যন্ত পুলিশকে ধোঁকা দিতে পেরেছিল, না কি সমুদ্র পেরোতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাদের? এফবিআই এর এ রকম চারটি কেস স্থান পেয়েছে এই বইতে, যা রহস্য-প্রিয় পাঠককে ভাবাবে। লেখকের স্বানু পরিবেশনের মুনশিয়ানায় এফবিআই এজেন্টদের পাশাপাশি পাঠক নিজের অজান্তে তদন্তে শামিল হয়ে যাবেন।
সাক্ষাৎকার। তার আড়ালে গল্প। বিচিত্র, অভিনব, রকমারি। হলিউড অভিনেত্রী থেকে নোবেল লরিয়েট, আমস্টারডামের প্রাক্তন যৌনকর্মী থেকে প্যারিসের গ্রাফিক নভেল আর্টিস্ট- উঠে এসেছে তাঁদের কাহিনি। আছে দূরদেশে হারিয়ে যাওয়ার গল্প আবার ভিনদেশে বাংলা-বাঙালিকে খুঁজে পাওয়ার আখ্যান। ‘দূরের মানুষ দুই মলাটে’ আসলে এক জার্নি। দূরকে চেনার, হয়তো নিজেকে জানারও।
রোম মানে কেবল জুলিয়াস সিজার নয়, ব্রুটাস বা মার্ক অ্যান্টনি নয়। নয় মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার শাসন-কাহিনি। নয় আবার নিরো বা ক্যালিগুলা। আবার এদের বাদ দিয়েও হয় না রোমের ইতিহাস। সঙ্গে যুক্ত হবে প্রথম রাজতন্ত্রের যুগের মিথ-মিশ্রিত নানান কাহিনি।
কীভাবে তিলে-তিলে রাজতন্ত্র পরিণত হল প্রজাতন্ত্রে এবং পাঁচশো বছর বাদে আবার প্রজাতন্ত্র নষ্ট হয়ে ফিরে এল সম্রাটদের শাসন— চমকপ্রদ এই ইতিহাসের অধ্যায় নিয়ে আমাদের যাত্রা।…
বাঙালির যৌন আচরণ, অভ্যাস, অভিমুখ ও দৃষ্টিকোণ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম দিক। এই সবকিছু মিলিয়ে গড়ে উঠেছে বাঙালির যৌন-সন্দর্ভ। প্রাক্-ঔপনিবেশিক পর্যায়ে বাঙালির সাহিত্য, লোকাচার, সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক বাঙালি যৌনতার যে স্বরূপ প্রকাশ করে, ইউরোপীয় প্রভাবের আওতায় আসার পর তা কিছুটা বদলে যায়। সংস্কৃতির অন্যান্য অংশের মতো যৌনতাও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে এক মিশ্র চেহারা নেয় এবং উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে প্রকট হতে থাকে। আবার বিশ শতকে এসে সেই সন্দর্ভও বদলে যেতে শুরু করে।
পঞ্চাশ-ষাটের দশক থেকেই বাঙালির যৌনবোধ আরও দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছিল। নব্বই দশকের একেবারে গোড়ায় মুক্ত অর্থনীতির ধাক্কায় একদিকে যেমন ভুবনায়িত যৌনতার সংজ্ঞার্কেনিজেদের জীবনে গ্রহণ-বর্জনের মধ্যে দিয়ে আপন করল বাঙালি, তেমনই লিঙ্গরাজনীতির প্রশ্নগুলোও বাঙালিকে নতুন করে ভাবতে শেখাল।
দুর্লভ পত্রিকা, বই, ছবি ও একগুচ্ছ নতুন নিবন্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির সেই পরিবর্তমান যৌনচেতনার এক সংক্ষিপ্ত রূপরেখা আঁকা হয়েছে এই সংকলনে।
ফেলে আসা সময়ের কলকাতা নিয়ে নতুন করে আবার একটা বই, মানেই সেখানে নতুন তথ্য এসেছে, এমন নয়। বরং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে বিশ্লেষণ, বর্তমান সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা এই বই। চটজলদি যোগাড় করে পরিবেশন করা তথ্য নয়, পুরোনো সময়ে লেখার নতুন করে টিপ্পনি করাও নয়, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অতীতকে ফিরে দেখা, অল্প আলোচিত কিছু টুকরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা এটি। ইতিহাস যে শুধু ফিসফিস করে কথা বলে না, বর্তমান সময়ের নিকটতম প্রতিচ্ছবি হয়ে বিরাজ করে, সেকথা প্রমাণের চেষ্টাও রয়েছে অবশ্য। কলমের গুণমান কিংবা মসৃণ পাঠের আগাম নিশ্চয়তা না থাকলেও, পাঠকের কৌতূহল বাড়ানোর গ্যারান্টি থাকছেই
একটা ডাকাতদল… এক ডাক্তারের কালো অতীত… এক জাঁক-দেখানো চোর… ছেলেবেলার পাঠ্য বইয়ের জিমি ভ্যালেন্টাইন… একটা দুরন্ত পরিকল্পনার অপরাধ… এক অপরাধীর স্বীকারোক্তি… এক পকেটমার… এক আন্তর্জাতিক প্রাচ্যদেশীয় অপরাধীদলের পাণ্ডা… ভয়ংকর এক খেলা… একটা হাত।
মোট দশ কাহিনি। কাহিনির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে দশ খলনায়ক। কাহিনির সৃজনে বিশ্বের সেরা দশ গল্পকার। বাংলা তর্জমায় দীপ্তজিৎ মিশ্র। জটায়ুর মতোই দশ ‘রহস্য্ রোমাঞ্চ্ কাহানি’-র পসরা নিয়ে আসছে ‘দুর্ধর্ষ দুশমন’।
ভালোবাসা। চার অক্ষরের এই দেবতাটির কাছে নতজানু হতে হয় সকলকেই। কলেজকালের জাদুবয়েসিরা তার দোরে হাত পাতে। তার উপাসনায় তিন দশকের বেশি দাম্পত্য কাটানো জুটি ঘর পালিয়ে তিস্তাপাড়ে। তারই নেশায় নদীটি নারীরূপ ধরে দয়িতকে গ্রাস করে… অথবা কিন্নরী মানুষের ঘরে এসে মরজগতে আশ্রয় নেয়। গত এক দশক ধরে প্রকাশিত হয়ে চলা তেমনই কিছু ভালোবাসার কাহিনি।
পেশায় সাংবাদিক হলেও কলকাতার ইতিহাস নিয়ে লেখকের চর্চা দীর্ঘদিনের। সংবাদপত্র ছাড়াও বিভিন্ন সাময়িকপত্র ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে লেখকের কলকাতা সম্পর্কিত যে সমস্ত রচনা প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর থেকে বাছাই করা কিছু নিবন্ধ নিয়ে এই বই।
কলকাতার আদি ইতিহাস থেকে আরম্ভ করে, এই শহরের নামকরণ, উল্লেখযোগ্য কিছু রাস্তার নামের ইতিহাস, রাইটার্স বিল্ডিংস, টাউন হল, নদীয়া হাউস, কলকাতার ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস-সহ শহরের স্বনামধন্য বেশ কিছু বাড়ির কথা ছাড়াও রয়েছে কলকাতা শহর গড়ে ওঠবার সময়কালের বিচিত্র সব কাহিনি। শুধু রাস্তা আর বাড়ির কথাই নয়, এই বইতে রয়েছে স্বদেশি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লেখা একাধিক নিবন্ধও। আশা করা যায়, কলকাতা শহরের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহী পাঠকদের অনেক কৌতূহল মেটাতে পারবে এই বই।
আর্কিওলজির সঙ্গে মিস্ট্রি অর্থাৎ রহস্যের সম্পর্ক ইতিহাস সৃষ্টির সময় থেকে। সারা পৃথিবী জুড়ে তাই ছড়িয়ে রয়েছে হাজারো সমাধান না হওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক রহস্য। সেইসব রহস্যের খোঁজে কখনও আমরা পৌঁছে গেছি ধু-ধু মরুভূমি থেকে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল। আবার কখনও সন্ধান চালিয়েছি প্রাচীনতম সব আর্কিওলজিক্যাল সাইটগুলোতে। সমাধান না হওয়া সেইসব প্রত্নতাত্ত্বিক রহস্যের কাহিনি জেনে নিতে কখনও ঘুরে বেরিয়েছি মিশর থেকে অ্যান্টার্কটিকা। আবার কখনও বা মেক্সিকো থেকে ইজরায়েল। এই রকম অনেকগুলো আর্কিওলজিক্যাল মিস্ট্রির সত্য ঘটনা নিয়েই এই বই- আর্কিও-মিস্ট্রি…