খ্রিস্টপূর্ব যুগের এক বিশেষ পরিবেশে সূচিত হয়েছিল পাশ্চাত্য দর্শনের যুক্তিবাদী ধারা এবং পর্যায়ক্রমে আবির্ভাব ঘটেছিল প্লেটো এরিস্টটল প্রমুখ শ্রেষ্ঠ দার্শনিকের।কিন্তু মধ্যযুগের সামাজিক কর্তৃত্ব ও ধর্মীয় আধিপত্যের এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে স্তব্ধ হয়ে যায় দর্শনের স্বাভাবিক স্রোতধারা,যুক্তিবাদী দর্শনের ওপর আধিপত্য বিস্তৃত হয় বিশ্বাসকেন্দ্রিক ধর্মতত্ত্বের।কিন্তু ইতিহাসের অমোঘ শক্তির প্রভাবে পতন ঘটে মধ্যযুগীয় স্কলাস্টিকবাদের এবং খ্রিস্টীয় চৌদ্দ শতকের দিকে ইউরোপীয় রেনেসাঁর মধ্য দিয়ে।দর্শনের ক্ষেত্রে অত্যুদয় ঘটে আধুনিক যুগের।এই নবযুগের ধ্যান-ধারণা বিকশিত হয়ে এক বিশেষ পর্যায়ে উপনীত হয় উনিশ শতকে জার্মান দার্শনিক হেগেলের বুদ্ধিবাদী-ভাববাদী দর্শনে।হেগেলের পর পাশ্চাত্য দর্শনের স্রোত প্রবাহিত হতে থাকে।বিভিন্ন খাতে,হেগেলীয় ভাববাদের বিচার ও বিরোধিতা থেকে গড়ে ওঠে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ,নব্য বাস্তববাদ,অস্তিত্ববাদ,প্রয়োজনবাদ,বিবর্তনবাদ প্রভৃতি মতবাদ।এ ছাড়া অংশত বিজ্ঞানের প্রভাবে এবং কিছুটা দর্শনের অতর্বিবর্তনের ফলে বিশ শতকের গোড়ার দিকে গতানুগতিক ভাববাদী বুদ্ধিবাদী দর্শনের বিরুদ্ধে রচিত হয় বিশ্লেষণী দর্শন নামক এক শক্তিশালী আন্দোলন।হেগেল -উত্তর কালের এসব আন্দোলন ও মতবাদের স্বপ ও গতিপ্রকৃতি এবং হালের মানুষের মনন ও সংবেদনে।তাদের প্রভাব নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পেয়েছে।সমকালীন পাশ্চাত্য দর্শন গ্রন্থে।
Samakalin paschatya darsan – সমকালীন পাশ্চাত্য দর্শন
Brand :
| Weight | 1 kg |
|---|





